Today Kolkata:- তিন রাজ্য নির্বাচনী ফলপ্রকাশ বের হওয়ার পরেই দেশজুড়ে উচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে বিজেপি কর্মীরা। ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরে এদিন কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এদিন ভাষণে প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় ছিল বাম এবং কংগ্রেস শিবির। ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে বাম এবং কংগ্রেস (Congress) শিবির একসঙ্গে লড়াই করেছে। সেই বিষয়টি টেনে এদিন কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কিছু দল পর্দার পিছনে জোট করছে। সেটা জনতা দেখছে। এক রাজ্য কুস্তি, অন্য রাজ্যে দোস্তি। এদের চেহারা মানুষ দেখে নিয়েছেন। কেরলের জনতা দেখছে কীভাবে বাম কংগ্রেস (Congress) অন্য রাজ্যে জোট করে। কেরলে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নাটক করে। সত্যি এটাই দুই দলই মিলেমিশে আছে। দুই দলই কেরলে লুঠ করছে। আমার বিশ্বাস , ভবিষ্যতে নাগাল্যান্ডের মতো কেরলে বিজেপির (BJP) সরকার হবে। দেশের জনতা বারবার বিজেপির উপর বিশ্বাস রাখছে।”
তিনি বলেন, “কিছু লোকের মোদির কবর খোড়ার ইচ্ছা ছিল, তাঁদের বলি পদ্ম বেড়েই চলেছে। কিছু লোক বেইমানি কট্টর ভাবে করে। এরা বলে মোদি সরে যাক। কিন্তু দেশ বলে মোদি যেও না। আজকের ভোটের ফলাফলের পরে কংগ্রেস (Congress) বলছে এগুলো ছোট রাজ্য তো , এই নির্বাচনের প্রভাব থাকে না। এই রাজ্যগুলির লোকেদের অপমান। ছোট রাজ্যদের তিরস্কার করায় কংগ্রেস বড় ভুল করছে। এই ধারনার জন্য কংগ্রেস সবসময় দেশের দলিত, আদিবাসীদের অপমান করেছে। এই মানসিকতাই স্বাধীনতা পরে সব থেকে বড় সমস্যা তৈরি করেছে। আমি কংগ্রেসকে বলেছি, ছোট রাজ্যে প্রতি এমন ধারনা আপনাদের আরও ডুবিয়ে দেবে।”
Narendra Modi তিন রাজ্য নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়, বিরোধীদের বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
Weather আগামী সপ্তাহে ৩৫ ডিগ্রি ছুঁতে পারে কলকাতার তাপমাত্রা, বাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি।
প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) জানান, “অনেক কঠিন রাস্তার পরে আমরা সাফলতা পেয়েছি। স্বাধীনতার সাত দশক পরেও উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির বহু গ্রামে বিদ্যুৎ ছিল না। এখন এসব কথা ভাবাও যায় না। আগের সরকার এগুলোকে গুরুত্বও দেয়নি। এখন সেখানে জল, বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের সংযোগ আগের সরকার ভাবেনি। বিমানবন্দর, হাইওয়ে, রেলওয়ে এই কাজগুলি উত্তর-পূর্বে করা কঠিন ভাবা হত। এই জন্য সেখানে কিছু করতে গেলে দেরি হত।”
তিনি বলেন , “আজ ভারতের কথা গোটা বিশ্বে হচ্ছে। আমাদের তৃতীয় শক্তি আমাদের কর্মীরা। আমি তাঁদের সম্মান জানাই। আমাদের কর্মীরা কঠিন সময়ে পতাকা ধরে রেখেছে। আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে হিংসা হয়। কিন্তু আমাদের কর্মীরা রাষ্ট্রের প্রতি সংকল্পবদ্ধ থাকেন। তাই তারা কোনও ভাবে ভেঙে পড়েন না। তাঁরা সবসময় এগিয়ে যেতে থাকেন। যেই দলের কাছে এমন কর্মী ভাণ্ডার থাকে, তাদের পক্ষে অসম্ভব কোনও কাজ নয়।”