পুরুলিয়ার জয়পুরের তৃণমূল প্রার্থী উজ্জ্বল কুমারের মনোনয়ন খারিজের সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে জানাল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। এই রায়ের ফলে জয়পুর কেন্দ্রে উজ্জ্বল কুমারের প্রার্থী হওয়ার আর কোনও সম্ভাবনা রইল না বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে ২৯০টি আসনে লড়তে হবে তৃণমূলকে। ৩টি আসন তারা আগেই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে ছেড়ে দিয়েছে।
সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবার এই মামলায় ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল কমিশন। বৃহস্পতিবার প্রার্থীর পক্ষে রায় দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, ছোট্ট একটা ভুলের জন্য কারও ভোটে লড়াই করার অধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না।
গত বুধবার ছিল প্রথম দফার মনোনয়নপত্র পরীক্ষার দিন। তার আগে চিঠি দিয়ে তৃণমূল প্রার্থী উজ্জ্বল কুমারকে কমিশনের তরফে জানানো হয় তাঁর হলফনামায় ভুল রয়েছে। বুধবার বেলা ১১টার মধ্যে সংশোধিত হলফনামা জমা দিতে বলে কমিশন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উজ্জ্বলবাবু হলফনামা জমা দিলেও দেখা যায় তাতে তারিখ ভুল। এর পর তাঁর মনোনয়ন বাতিল বলে ঘোষণা করে কমিশন।
কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে বৃহস্পতিবার আদালতের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। সেখানে কমিশনের তরফে জানানো হয়, বিধি মেনেই বাতিল করা হয়েছে উজ্জ্বলবাবুর মনোনয়ন। কিন্তু বিচারপতি ভট্টাচার্য রায়ে বলেন, তারিখের একটা ছোট্ট ভুলের জন্য কারও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতার অধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না। উজ্জ্বলবাবুর মনোনয়নকে বৈধতা দেয় আদালত।
সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছে কমিশন। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এতেই কমিশনের মনোভাব স্পষ্ট। আদালত প্রার্থীর মনোনয়নের বৈধতা দিলেও তাঁকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করা থেকে দূরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কমিশন।