নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মোদী পদবী বিতর্কে সংসদে খারিজ হয়ে গেল রাহুল গান্ধীর সদস্য পদ। ফলে এখন থেকে তিনি আর লোকসভার সাংসদ নন। ইতিমধ্যে লোকসভা সচিবালয়ের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যা কংগ্রেসের কাছে বড় ধাক্কা হিসাবেই দেখা হচ্ছে। আর এই নির্দেশ সামনে আসার পরেই জরুরি বৈঠক ডেকেছে কংগ্রেস। বিকেল পাঁচটার সময়ে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, সত্য কথা বলার জন্যেই রাহুল গান্ধী সাজা পেলেন বলে দাবি কংগ্রেসে নেতার। বৃহস্পতিবারই মোদী পদবী বিতর্কে গুজরাত সুরাত জেলা আদালত সোনিয়া পুত্রকে দোষী সাব্যস্ত করে। শুধু তাই নয়, দু’বছরের জেলের সাজা শোনায় আদালত। এরপরেই আজ শুক্রবার সকালে সংসদে পৌঁছন রাহুল। শুধু তাই নয়, একজোট হয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন।
আর এর মধ্যেই রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করা হল। ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ। পাশাপাশি জন-প্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ এই সদস্য পদ খারিজ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রাহুল গান্ধী কেরলের ওয়ানাড থেকে সাংসদ ছিলেন। ইতিমধ্যে লোকসভা সচিবালয়ের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। আর এই সেই কপি রাহুল গান্ধীর কাছেও একটি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের অফিস সহ পিএমও দফতর সমস্ত জায়গাতেই পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি রাহুল গান্ধী। তবে সংসদের ভিতরে না হোক, বাইরে লড়াই জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খার্গে।
শুধু তাই নয়, আন্দোলন আরও তীব্র হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এমনকি রাজনৈতিক এবং আইনগত ভাবেও লড়াই জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন জয়রাম রমেশ। যদিও অহংকারের পতন হয়েছে বলে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, ওনারা সবসময়ে নিজেদের আইন এবং সংবিধানের ঊর্ধ্বে ভাবতেন। কিন্তু দেশের আইন যে সবার জন্যে এক এবং শক্তিশালী তা একবার প্রমাণ হল বলে দাবি বিজেপি সাংসদের। সংসদে খারিজ