বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে স্বস্তি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার হাইকোর্টের রায়ে বিজেপি নেতাকে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কড়া কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার আগে কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিতে হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে দুটি মামলার ক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীকে তদন্তে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।
শুভেন্দুকে দেওয়া হাইকোর্টের ‘রক্ষাকবচ’কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য
Read More-প্রতিটি দুর্গাপুজো কমিটিকে এবারও ৫০ হাজার, বিদ্যুতের বিলে ৫০% ছাড়, ঘোষণা রাজ্যের
কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ে স্বস্তিতে বিরোধী দলনেতা। তবে কেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচ দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন রাজ্যের। শুধু তাই নয়, শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার না করার বিষয়ে কলকাতা হাই কোর্টের সিঙ্গল বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ রাজ্যের।
Read More-পুজোর মুখে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য সুখবর! আজ থেকে চালু হাওড়া-দিঘা ট্রেন পরিষেবা
আজ মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলা দায়ের করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি কেসাং ডোমা ভুটিয়ার ডিভিশন বেঞ্চে দ্রুত এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।তবে নয়া মামলাতে নতুন করে শুভেন্দুর উপর চাপ বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এই মামলাতে পাল্টা শুভেন্দুর আইনজীবীদের তরফেও প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে নতুন করে শুভেন্দুর সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত দেখতে চলেছে রাজ্যের মানুষ। উল্লেখ্য, বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চ সোমবার নন্দীগ্রামে রাজনৈতিক সংঘর্ষের মামলা ( অভিযোগ সেখানে তৃণমূল কর্মীরা জয় বাংলা বলার পরেই রাজনৈতিক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে), প্রাক্তন দেহরক্ষীর অস্বাভাবিক মৃত্যু সংক্রান্ত মামলা এবং পাশকুড়া থানায় সোনার চেন ছিনিয়ে নেওয়ার মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
Read More-প্রত্যেকদিন জমা দিতে নির্বাচন-এলাকার আইন-শৃঙ্খলার রিপোর্ট, রাজ্যকে নির্দেশ কমিশনের
এই তিনটি মামলাতেই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে।একইসঙ্গে হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছে তমলুকে এসপি অফিসের সামনে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনভঙ্গ করে সভা করার অপরাধের মামলা এবং মানিকতলা থানায় চাকরির প্রতারণা সংক্রান্ত মামলায় তদন্তকারীদের সহযোগিতা করতে হবে শুভেন্দু অধিকারীকে।
Read More-সাংসদ সুনীল মণ্ডলের ভাইয়ের দেহ উদ্ধার ট্রাকের ভেতর থেকে, তদন্তে পুলিশ
তবে একইসঙ্গে সিআইডিকে বলা হয়েছে, বিরোধী দলনেতা হওয়ার কারণে শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এবং ব্যস্ততা রয়েছে। তাই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন পড়লে তাঁর সুবিধা মতো জায়গায় গিয়ে তা করতে হবে। হঠাত্ করে সিআইডি বলতে পারবে না, শুভেন্দু অধিকারীকে একটি নির্দিষ্ট সময়ে, একটি নির্দিষ্ট জায়গায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, তাঁকে সেখানে হাজিরা দিতে হবে।এই দুই মামলায় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর নেই। কলকাতা হাইকোর্টের তরফে অন্তর্বর্তী আদেশে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শুধু বর্তমান সময়েই নয়, ভবিষ্যতেও কোনও মামলায় যদি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনও কড়া ব্যস্থা নিতে চায় সিআইডি তথা রাজ্য পুলিশ, তাহলে তার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিতে হবে।
Read More-এবার থেকে আধার কার্ডে বাবা ও স্বামীর পরিবর্তে ‘কেয়ার অফ’, বড় সিদ্ধান্ত UIDAI-এর
এমনকি এখন শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা যাবে না বলেও নির্দেশে জানায় কলকাতা হাইকোর্ট। এবার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য সরকার।