বৃহস্পতিবার খড়্গপুরের জনসভায় বাম রাজনীতির চর্চার অন্যতম পীঠস্থান কফিহাউসে গত সোমবার যা ঘটেছে তা নিয়ে সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘কফি হাউস দখল করতে গেছে বিজেপি, এত বড় সাহস!’ কফির কাপে তুফান তুলে টেবিলজুড়ে সেখানে নানান চর্চা চলে। সাহিত্য থেকে রাজনীতি, অর্থনীতি থেকে খেলা—কলেজ স্ট্রিটের সেই ইতিহাস বিজড়িত কফিহাউসে সোমবার সন্ধেবেলা ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে গিয়েছিল। বিজেপি ও বিজেপি-বিরোধীদের স্লোগান ও পাল্টা স্লোগানে তেতে ওঠে সোমবার সন্ধ্যার কলকাতা কফি হাউস। দিন কয়েক ধরেই কফিহাউস জুড়ে পোস্টার সাঁটা হয়েছে, ‘নো ভোট টু বিজেপি’ লেখা। সেদিন সন্ধেয় বিজেপির একদল কর্মী-সমর্থক এসে সেই পোস্টারগুলি ছিঁড়ে ফেলে ও কালি লেপে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। যারা ওই ঘটনা ঘটিয়েছিল তাদের পরনে ছিল গেরুয়া টি-শার্ট ও তাতে নরেন্দ্র মোদীর ছবি।এদিন মমতা বলেন, ‘মান্না দের একটা বিখ্যাত গান ছিল, কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই। সেই কফিহাউসে গিয়ে গুণ্ডামি করছে। যে ছেলেটার নাম বেরিয়েছে সে দিল্লির দাঙ্গায় ছিল। বহিরাগত গুণ্ডা।’তৃণমূলনেত্রী আরও বলেন, ‘একটা করে গুণ্ডা আসছে, কপালে একটা তিলক কাটছে আর মুখে পান বাহার চিবোচ্ছে। দু’দিক দিয়ে লাল গড়াচ্ছে আর বলছে মেরে দেব, ফাটিয়ে দেব, কেটে দেব।’ এদিন কফি হাউসের কথা বলতে গিয়ে মমতা এও বলেন, ‘জানে ওখানে কারা যেত? জানে ওখানে কারা যায়? আমরাও ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় কফি হাউসকে দূর থেকে প্রণাম জানিয়েছি।’ যদিও সোমবারের ঘটনা নিয়ে বিজেপির পাল্টা দাবি রয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, তাঁদের কর্মীরা কফিহাউসে গেছিলেন পোস্টার সাঁটতে। কিন্তু তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। তাঁদের প্রশ্ন, যদি বিরোধীরা পোস্টার লাগাতে পারে, তবে তারা কেন পারবে না। অভিযোগ, বাধা পাওয়ার পরেই তাঁরা স্লোগান তোলেন এবং প্রতিবাদ জানান। মূলত ‘নো ভোট টু বিজেপি’ ক্যাম্পেইনের পিছনে রয়েছে লিবারাল ও অতি বামরা। এ নিয়ে অবশ্য সিপিএমের টিপ্পনি রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, তাঁরা তৃণমূলের মদতপুষ্ট।