নতুন করে রাজনীতিতে আর সেভাবে এগিয়ে আসছে না ছাত্রছাত্রীরা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে বার্তা দেন, এগিয়ে আসার। ‘রাজনীতিটা আদর্শের জায়গা হোক, লড়াইয়ের জায়গা হোক।’ ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে এমনটাই বললেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দোপাধ্যায়ে বক্তব্য:
‘খেলা হবে, জয় হবে’, ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে বার্তা মমতার
Read More-সিএমও-তে প্রতি বছর ৫০০ জন নিয়োগ, স্কুল কলেজ খোলা নিয়েও বড় ঘোষণা মমতার
- খেলা হবে, জয় হবে
- ভোটের সব খরচ করুক নির্বাচন কমিশন
- নতুন সংগঠনে যারা নেই, তাদের ভাবার কোনও বিষয় নেই। আমি সবার জন্যই আছি। যারা আগে ছিলেন এখন বাদ পড়েছেন, তারা সবসময় ভাববেন, আমরা চেষ্টা করেছি কিভাবে অনেক বেশি কর্মীকে সংগঠনে যুক্ত করা যায়
- পিএম কেয়ার্সের টাকা কী করে আসে জানতে চাই
- আফগানিস্তান থেকে আগে নাগরিকদের উদ্ধার না করে কেন সেনা প্রত্যাহার? সেনাদের মধ্যে এমন বিভাজন
- কেন আফগানিস্তান থেকে ভারতীয়রা ফেরত আসবে না?
- সিপিএমও আমাকে খুন করার চেষ্টা করেছে, বিজেপিও। নন্দীগ্রামেও আমাকে খুন করার চেষ্টা হয়েছিল
- সিবিআইতে আপত্তি নেই, কিন্তু বিজেপি নেতাকে নিয়ে কেন গ্রামে যাবে?
- এমন প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি কখনও দেখিনি। পকেটে একটা নেংটি ইঁদুর ঢুকিয়ে রেখেছো।
ওটা তোমার নিজের পকেটই কেটে দেবে। ইডি একটা কাগজ পাঠাবে, আমি বস্তা ভরে কাগজ পাঠাব
- অভিষেকের সঙ্গে পারলে রাজনীতির লড়াই লড়ো
- সব কমিশনকে রাজনৈতিক করে দিয়েছে। প্রত্যেকে বিজেপি-র সদস্য
- মানবাধিকার কমিশন কি শুধু বাংলার জন্য? ত্রিপুরার জন্য নয়?
ওখানে রোজ মারছে আমাদের কর্মীদের।
- ত্রিপুরায় সরকারি চাকরিতে ছাঁটাই হয়েছে। অথচ ভোটের আগে অনেক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেস লড়ছে।
তাই ত্রিপুরায় আমাদের প্রতিদিন মারছে
- বিমা, কয়লা, রেলস্টেশন বিক্রি করে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর পর জনগণকে হয়তো বলবে দেহাংশ বিক্রি করে দাও। ছাত্রছাত্রীদের দায়িত্ব এর বিরুদ্ধে প্রচারে নামতে হবে
- কয়লা বিক্রির জন্য শুধু তৃণমূলকে ধরলে হবে? কয়লা কেন্দ্রের।
আমি বলে দিতে পারি, অন্তত এক ডজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আসানসোলকে লুঠে খেয়েছে। ভোটের সময় তাঁরা এসে কয়লা মাফিয়াদের হোটেলেই উঠেছিল
- আইটি-তে বিপুল কর্মসংস্থান হবে। বানতলায় লেদার কমপ্লেক্সে অনেক কর্মসংস্থান হবে। রাজ্যে ৬৮টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, বিশ্ববাংলা হাব-সহ বহু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
রাজ্যে ২ লক্ষ ১০ হাজারের বেশি আইটি কর্মী রয়েছেন। ডেটা রিসার্টচ সেন্টার তৈরি হলে ওই ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান আরও বাড়বে
- সবুজ সাথী প্রকল্পে ১ কোটির বেশি সাইকেল দেওয়া হয়েছে, আরও দেওয়া হবে। ১০ লক্ষ টাকার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেওয়াও শুরু হয়েছে
- দু’জন গেলেও তারা আবার ফিরে এসেছেন। কারন তারা জানেন, তাদের দলটাই একমাত্র আশ্রয়।
এই ঘর ছাড়লে, আর ভালবাসার ঘর খুঁজে পাওয়া যায় না
- আমার জনতার দরবার বইটি পড়বেন। তাতে আছে, মানবাধিকার কমিশনের জন্য আমি কি লড়াই করেছিলাম। আমি ২১ দিন ধরনা করেছিলাম রাস্তায়। তখন প্রতিদিন লকআপ, মৃত্যু হত।
আর এখন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এর কি অবস্থা!
- দিল্লি যখন আমাদের সঙ্গে পারেনা, এজেন্সি লেলিয়ে দেয়
- বিরোধী দলে থেকে ৩০ বছর প্রাণ ফাটা লড়াই করেছি। সারাক্ষণ শুধু রক্ত ঝরেছে। লাঠি, বাঁশ, গুলি কিছুই বাকি রাখেনি
- বাংলা পথ দেখাক। টিএমসিপি সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিক
- রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণে জোর দিতে হবে।
শিক্ষার্থীরা আমাদের ভবিষ্যত্
- আমি গত দশ-পনেরো বছর ধরে লক্ষ্য করছি, রাজনীতিতে ছাত্র যৌবন আর সেভাবে এগিয়ে আসছে না
- আজ যাদের ১৮ বছর বয়স। আগামী পৃথিবীর ভবিষ্যত্ তারাই
- আমরা মনে করি, অবহেলিত মানুষ, অসহায় মানুষ, সব ধর্মের মানুষকেই নিয়ে চলতে হয়। আর সবাইকে নিয়ে চলার যারা শুরু করে, তারা হচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা