ট্রেনে কাটা পরে একসাথে মৃত্যু হল তিন ব্যাক্তির। ট্রেনে কাটা পরে একসাথে মৃত্যু হল তিন ব্যাক্তির। বুধবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ দিনহাটা দুই নম্বর ব্লকের বামনহাট সংলগ্ন কিশামত দশগ্রাম চৈতারছড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ট্রেনে কাটা পড়ে একসাথে তিন ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকাতেই চলছিল অষ্টমীর পুজোর মেলা। মেলাতেই চলছিল সজোরে মাইক। এদিন শিলিগুড়ি বামনহাট ডেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেন রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বামনহাট স্টেশনে ঢোকার আগে চৈতারছড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।ট্রেনে কেটে মৃতদের নাম কমলেশ বর্মণ, দয়াল বর্মণ ও রণজিৎ বিশ্বাস।
এদের মধ্যে একজনের বাড়ি চৌধুরীরহাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বাকি দুই জনের বাড়ি কিশামত দশগ্রাম এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে,জানা গিয়েছে ওই এলাকাতেই বাসন্তী পুজোর অষ্টমী পুজো ও অষ্টমীর স্মান উপলক্ষে মেলা চলছিল। ওই মেলাতেই এসেছিলেন কমলেশ, দয়াল ও রঞ্জিত। এদিন রাতে মেলার পাশাপাশি সেখানে সজোরে মাইক বাজছিল। এরা তিনজনই রেল লাইনের ধারে বসে গল্প করছিল। সেই সময় শিলিগুড়ি বামনহাট জংশন ডেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেন ওই পথ দিয়ে বামনহাট স্টেশনের দিকে যাওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিনজনের। ঘটনার খবর কি পুলিশ সেখানে ছুটে যায়। এরপর রেল পুলিশ গিয়ে মৃতদে উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত পাঠায়।
তৃণমূলের দিনহাটা দুই ব্লক সভাপতি দীপক কুমার ভট্টাচার্য জানান, শিলিগুড়ি বামনহাট প্যাসেঞ্জার ট্রেন এদিন রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চৈতারছড়া এলাকা দিয়ে বামনহাট স্টেশনে ঢোকার আগেই হঠাৎ করে ট্রেন চলে আসতেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়।
এদিকে রেল দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ট্রেন সাড়ে দশটা নাগাদ চৈতারছড়া দিয়ে বামনহাট স্টেশনে যাওয়ার আগে ট্রেনের ধাক্কায় তিনজনের মৃত্যু হয়। এরা তিনজনের লাইনের উপরে বসে ছিল। ঘটনার পর সেখানে গিয়ে রেল পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।