শুক্রবার রাতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে ছোট্ট দ্বীপ টোঙ্গা। সেখানকার এক আগ্নেয়গিরিতে বিকট শব্দে অগ্ন্যুত্পাত শুরু হয়। তার ধাক্কায় সমুদ্র উত্তাল হয়ে সুনামির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। টোঙ্গা দ্বীপের এই আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ এতটাই ভয়ঙ্কর এবং শক্তিশালী ছিল যে সারা বিশ্বকেই তা কাঁপিয়ে দিয়েছে।
সমুদ্রের তলায় আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ! সুনামি আছড়ে পড়ল টঙ্গাতে, কাঁপল জাপান, আমেরিকা
Read More-তিনদিনের শিশুর হৃদযন্ত্র বিকল, একরত্তিকে বাঁচাতে ঝাঁপাল অভিষেকের টিম
জাপান থেকে আমেরিকা, সুনামির সেই ঢেউ আছড়ে পড়েছে সর্বত্রই। প্রশান্ত মহাসাগরের পাড়ে অবস্থিত এলাকায় সমুদ্রে উত্তাল ঢেউ দেখা গেছে, টোঙ্গা থেকে বহুদূরে অবস্থিত এলাকাও বাদ যায়নি। আর তা থেকেই বিশেষজ্ঞরা আঁচ করতে পেরেছেন সাগরপাড়ের এই কম্পন কতটা শক্তিশালী। টোঙ্গা দ্বীপের এই আগ্নেয়গিরি বিজ্ঞানী মহলে উদ্বেগের পারদ চড়িয়েছে। টোঙ্গা দ্বীপের হাঙ্গা টোঙ্গা-হাঙ্গা হাপাই আগ্নেয়গিরিতে শুক্রবার রাতে হঠাত্ বিস্ফোরণ হয়। তারপর পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে আসতে থাকে গলিত লাভা। শুধু তাই নয়, ওই বিস্ফোরণের ফলে চারদিক কেঁপে ওঠে প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে। টোঙ্গা দ্বীপের ওই বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা গিয়েছিল ১০ হাজার কিলোমিটার দূরের আলাস্কাতেও। উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ে শুক্রবার রাতের সেই ভয়াবহতা। প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে কালো ধোঁয়া ছেয়ে যায়, কালচে ছাইয়ে ভারী হয়ে ওঠে বাতাস। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ওই বিস্ফোরণে ভূকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫.৮-এর সমান। টোঙ্গায় এমন বিস্ফরণের পর সুনামি পরিস্থিতি তৈরি হয়। ১.২ মিটার পর্যন্ত ওঠে জলোচ্ছ্বাস। স্থানীয়দের বাড়িঘর তছনছ হয়ে গেছে সেই সুনামির তোড়ে। এলাকার মানুষকে অপেক্ষাকৃত উঁচু নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে ওই দ্বীপের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন, তাই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও স্পষ্ট করে জানা যায়নি।