অবহেলিত তপনের শিকারপুর গ্রাম,নেই রাস্তা,জল,শৌচালয়ের ব্যবস্থা,ক্ষোভ । দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শিকারপুর শিকারপুর গ্রামে নেই রাস্তা,জল,শৌচালয়ের ব্যবস্থা। অভিযোগ,সেজন্য খোলা মাঠেই ছুটতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের।মহিলাদের ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যা হয়।অন্যদিকে যাতায়াতের অযোগ্য রাস্তার কারণে সকলের চলাচলে ভোগান্তি বারে।প্রসব মায়েদের ভোগান্তির অন্ত থাকে না। ইলেকট্রিক পোলে বিদ্যুৎ থাকলেও গ্রামের বাড়িগুলিতে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছায় নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,শিকারপুর গ্রামে বসবাস প্রায় ১৫০ পরিবারের। যাদের অধিকাংশই তপশিলী উপজাতিভুক্ত। গ্রামে প্রবেশের জন্য রয়েছে একটি মাটির রাস্তা, বর্ষাকালে তো দূর অস্ত,গরমেও রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে নাভিশ্বাস উঠে গ্রামবাসীদের।গ্রামবাসীদের বক্তব্য একাধিকবার নানা মহলে আবেদন করেও কোনো সুরাহা হচ্ছে না।যদিও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
শিকারপুর গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্ণী মার্ডি বলেন আগেও আবেদন করেছিলাম শৌচালয় দেয়নি,এর জন্য আমাদের সমস্যা হয়।স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত বলে হবে হবে কিন্তু হয় না।গ্রামের মহিলা কলিতা সরেন, হীরামনি মার্ডি বলেন,পঞ্চায়েতের মেম্বাররা বলে শৌচালয় আসবে, ২০ বছর ধরে এখনও আসছেই। সুরক্ষা কবচ নিয়ে নেতারা গ্রামে এসেছিল সমস্যার কথা না শুনেই চলে গেছে, ভোট-ই দিব না, কারো বাড়িতে শৌচালয় নেই, মেয়ে মানুষদের কত সমস্যা হয় তা কেউ বোঝে না।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক গ্রামবাসীরা বলেন, স্বঘোষিত নির্মল জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরের রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের প্রবেশ দ্বারে “মাঠে ঘাটে পায়খানা-মৃত্যুর পরোয়ানা”, “মিশন নির্মল বাংলা – প্রচারে ৭নং রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত” লেখা হেডিং টাঙ্গানো থাকলেও কেন আদিবাসী অধ্যুষিত গোটা গ্রাম বছরের পর বছর কেন শৌচালয়হীন অবস্থায় রয়েছে। শিকারপুর গ্রামের অনুন্নয়নের ছবি লজ্জা প্রশাসনের। যদিও সমস্যার কথা শুনে গ্রামবাসীদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন তপন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।
তপন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাজু দাস বলেন এটা আমার জানা ছিল না, আপনাদের কাছ থেকেই শুনলাম, শুনে ব্যক্তিগতভাবে খুব খারাপ লাগল যে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী এত উন্নয়ন করার পরেও আদিবাসী মানুষরা পিছিয়ে পড়ে আছে। যাতে তারা শৌচালয়গুলি পায় সে ব্যবস্থা করব এবং আমাদের ব্লকের তরফ থেকে সেই কাগজগুলিকে আমি এন্ট্রি করব যাতে প্রত্যেকটি পরিবার বঞ্চিত না হয় এবং এই সূযোগ সুবিধাগুলি পায় সেই চেষ্টা করব।আমি বিডিও-কে জানাব, আমাদের ব্লকের টিমও তদন্তে যাবে, এগুলি না দেখে কিছু বলতে পারব না।
IPL আইপিএল শুরুর আগেই ধাক্কা RCB শিবিরে , গোড়ালির চোটের কারণে এই ক্রিকেটারকে পাবে না কোহলিরা।
উল্লেখ্য,আসন্ন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে অনুন্নয়নের কারণে ক্ষোভে ফুঁসছে আদিবাসী অধ্যুষিত শিকারপুর গ্রাম। যন্ত্রনাভরা কন্ঠে শিকারপুর গ্রামের বাসিন্দারা সোজা সাপটা ভাবেই বলে দিয়েছে “ভোট চাইতে আসলে দেব না।আগে কাজ ,তারপর সব কথা।