আজ থেকে রাজ্য জুড়ে পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু হচ্ছে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প। কোভিড বিধি মেনেই বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। আপাতত প্রতিটি জেলায় একটি করে রেশন দোকানের মাধ্যমে এই পরিষেবা শুরু হতে চলেছে। তবে ভৌগলিক কারণেই আপাতত পাহাড়ে এই পরিষেবা শুরু হচ্ছে না। তবে আবহাওয়া সংক্রান্ত পরিস্থিতির জেরে বৃহস্পতিবার রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় চালু করে এই দুয়ারে রেশন প্রকল্পের সুবিধা। তবে সবটাই হয়েছে পরীক্ষামূলক ভাবে।
বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে ক্ষমতায় এলে এই ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের ইস্তেহারেও অন্যতম বড় চমক ছিল এই প্রকল্প। করোনা অতিমারির সময়ে দেরি না করে দ্রুত এই প্রকল্প শুরু করে দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। পাইলট প্রকল্পে প্রতিটি জেলায় একটি করে রেশন দোকান থেকে সংলগ্ন একটি পাড়া বা গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন পৌঁছে দেওয়া হবে।গত মঙ্গলবার দিনই ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প নিয়ে রাজ্যের খাদ্য দফতরের প্রধান সচিবের সঙ্গে ফুড কমিশনারের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন রেশন ডিলাররা। সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প চালানোর জন্য প্রতি কুইন্টালে ২০০ টাকা করে রেশন ডিলারদের কমিশন দিতে হবে। প্রথম ১৫ দিন রেশন দোকান থেকেই এই প্রকল্পের জন্য জিনিস নিয়ে সরবরাহ করবেন রেশন ডিলাররা। প্যাকেজিং বাবদও আলাদা খরচ দেবে রাজ্য। তবে ভৌগলিক কারণেই এখনই উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এবং দুর্গম এলাকাগুলিতে এই প্রকল্প চালু হওয়ার সম্ভাবনা কম।