ইডি-র সমনের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন সস্ত্রীক অভিষেক ব্যানার্জি।
কয়লাকাণ্ডে একাধিকবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে সমন পাঠিয়েছে ইডি। সম্প্রতি ইডি-র দপ্তরে হাজিরা দিতে দিল্লিও উড়ে গিয়েছিলেন অভিষেক। টানা ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। এরপরও ফের সমন পাঠানো হয় অভিষেককে। অভিষেক প্রশ্ন তুলেছেন, কলকাতার মামলায় কেন দিল্লিতে তলব করা হচ্ছে? ৯ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদে সব প্রশ্নের জবাব দেওয়ার পরেও ফের কেন ডেকে পাঠানো হয়েছে?
ইডি-র সমনের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ সস্ত্রীক অভিষেক ব্যানার্জি
Read More-‘ইনটু দ্যা ওয়াইল্ড উইথ বিয়ার গ্রিলস’, এবার বন্য অভিযানে ভিকি কৌশল
রুজিরার প্রশ্ন, কোভিড পরিস্থিতিতে দুই সন্তান নিয়ে দিল্লিযাত্রা সম্ভব নয় বলে জানালেও কেন ফের তলব করা হয়েছে? এরপরই ইডি-র সমনের উপরে স্থগিতাদেশের আর্জি করেছেন তাঁরা। এর আগেও ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণ তুলে ধরে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি।
২১ সেপ্টেম্বর দিল্লির সদর দপ্তরে অভিষেককে ফের তলব করে ইডি। এবার তার উপরই স্থগিতাদেশ চাইলেন অভিষেক ও রুজিরা। এটা ঘটনা গত ৬ সেপ্টেম্বর দিল্লির ইডি দপ্তরে হাজির হন অভিষেক। টানা ন’ঘণ্টা তৃণমূল সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।
রাত ৯টা নাগাদ দপ্তর থেকে বের হন তিনি। তার পরেও তাঁর চোখেমুখে ছিল আত্মবিশ্বাসের ছাপ। সাংবাদিকদের সামনে দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। এরপরও ফের তাঁকে তলব করা হয় দিল্লির অফিসে।
তদন্তে যে তিনি সবরকম সহযোগিতা করবেন, তা আগেই জানিয়েছিলেন অভিষেক। কিন্তু প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ ছাড়াও বারবার ইডির তলবে অসন্তুষ্ট অভিষেক ও রুজিরা। সেই কারণেই এবার দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন তাঁরা। দিল্লি হাইকোর্টে সমনের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সস্ত্রীক অভিষেক মামলা করায় কটাক্ষ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের নেতাদেরও গুজরাট থেকে মুম্বই ডাকা হয়েছিল। তাঁরা সোনার মতো চকচকে হয়ে বেরিয়ে এসেছেন। সিবিআই যেখানে নিরাপদ সেখানে ডাকবে। এখানে ডাকলে তো ওরা ঘেরাও করবে, ঢিল মারবে, মুখ্যমন্ত্রী ধর্নাও দেবেন।’