বৃহস্পতিবার সকালে প্রয়াত হয়েছেন ত্রিপুরা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাশ। কলকাতার বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। তাত্পর্যপূর্ণভাবে ত্রিপুরা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরই ওই হাসপাতালে পৌঁছে যান তৃণমূল নেতারা। সূত্রের খবর, গৌতম দাশের মরদেহ কোভিডবিধি মেনে দ্রুত ত্রিপুরায় তাঁর পরিজনের কাছে পৌঁছে দিতে উদ্য়োগী হয়েছে রাজ্য়ের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। যা রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোড়গোল ফেলেছে।
করোনায় প্রয়াত ত্রিপুরা সিপিএমের রাজ্য় সম্পাদক গৌতম দাস
Read more-হুগলির ডানকুনিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চায়ের দোকানে ম্যাটাডোর, মৃত 3
কয়েকদিন ধরেই করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করে জয়ীও হয়েছিলেন তিনি। তবে ফের অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। বুধবারই তাঁর করোনা পরীক্ষা হয়, কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ত্রিপুরা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাশ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর দেহ নিয়ে কী করা হবে সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। কারণ করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এলে কলকাতাতেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে হতো। আর নেগেটিভ এলে দেহ ত্রিপুরায় নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হতো। কিন্তু করোনা রিপোর্ট দ্রুত না এলে কোনও সিদ্ধান্তই নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না।
Read More-বন দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণা, গ্রেফতার ২
খবর পেয়েই বৃহস্পতিবার সকালে ওই হাসপাতালে পৌঁছে যান তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনিই করোনা রিপোর্ট দ্রুত পাওয়ার ব্যবস্থা করেন। পরে দেখা যায় গৌতম দাশ করোনা নেগেটিভ। এরপরই আগরতলায় তাঁর মরদেহ পাঠানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হয় তৃমমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ত্রিপুরার দিকে নজর রয়েছে তৃমমূল কংগ্রেসের। বিপ্লব দেবের নেতৃত্বে বিজেপি সরকারকে উত্খাত করতে জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে জোড়াফুল শিবির।
Read More-অটোমেটিক রুটের মাধ্যমে টেলিকম ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের অনুমোদন
বিগত কয়েকদিনে ওই রাজ্য়ে সিপিএম ও সিটুর পার্টি অফিসে হামলার নিন্দাও করেছে তৃণমূল। এমনকি প্রতিবাদ কর্মসূচিও নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারও। এবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের প্রয়াণে তৃণমূলের উদ্যোগও যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
Read more-Breaking: অভিনেতা সোনু সুদের অফিসে আয়কর দফতরের হানা