স্টার জলসায় শুরু হয়েছে ধারাবাহিক ‘কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’।সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদের এই ধারাবাহিকে নেই তথাকথিত কূটকাচালি, নেই শাশুড়ি বউমার ঝগড়া ঝাটি। দুই কিশোর-কিশোরীর দস্যিপনায় মোড়া এই ধারাবাহিকে রয়েছে শুধুই হাস্যরসের সম্ভার।
গুরুদেবের কথামতন কমলা ও মানিকের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। কমলার বাপের বাড়ি ছিল অন্য ধরনের সাহেবদের মতন সবকিছু সময় মাফিক। আর সে এখনো অনেকটাই ছোট বাচ্চা তাই সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠতে পারিনি বলে অনেক কথা তার পিসি শাশুড়িরা শোনালো।
মানিকের বাড়িতে সমস্ত ছেলেদের খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন মেয়েরা খেতে বসতে পারেনা।কিন্তু কমলার বাড়িতে এমনটা হতো না তাই তার খুবই খিদে পেয়েছিল। তখন ফুল পিসি তাকে জব্দ করার জন্য খাবার বেড়ে দেয় এবং বলে খেয়ে নিতে। সবাই তার থালা নিয়ে খেতে বসা দেখে তো হা হয়ে যায়। আর তখনই মুখে ভাত তুলতেই তার শাশুড়ি হাত চেপে ধরে।
কমলার পিসি শাশুড়িরা বারবার বলে দিয়েছিল অমাবস্যার দিন যেন সে কোন রকম ভাত না খায়। কিন্তু মানিক তাকে জোর করে ভাত খাওয়ায়। আর সেই বাড়ির সবাই দেখতে পেয়ে যাওয়ায় কমলাকে সবাই বলে রাক্ষসী। তাই কমলা তখন ঘরে কাঁদতে কাঁদতে চলে আসে এবং মানিক তাকে জিজ্ঞাসা করে তার কি হয়েছে সে সবটা বলে উল্টে মানিকও তখন বলে বসে তাহলে সে সত্যি কি রাক্ষসী নয়।
এই কথা শুনে কমলার আরোই খারাপ লাগে সে বলে যে তিনিও তাকে রাক্ষসী ভাববেন এর আগে তাই কমলা বলে ওঠে সে বাপের বাড়ি চলে যাবে। তখন মানিক বলে যে সে কখনোই তাকে যেতে দেবে না শাস্তি হিসেবে মানিক ১০০ বার কান ধরে উঠবস করবে তাও ভালো কিন্তু সেই যেন তার সঙ্গে কথা বলে তখন এই ভাবেই দুজনের ভাব হয়ে যায়।