নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম :- রবিবার ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুরে বিজেপির দলীয় কর্মসূচি এবং স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক কর্মসূচিতে এসে চরম বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন শুভেন্দু অধিকারী আসার আগে থেকে গোপীবল্লভপুরের হাতিবাড়ি মোড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূলের একদল কর্মী। সঙ্গে একই জায়গায় বিজেপি কর্মীরা জড়ো হয়ে জয় শ্রী রাম ধ্বনি দিতে থাকেন। স্বাভাবিকভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একপ্রকার নাকানিচোবানি খেতে হয় গোপীবল্লভপুর থানার পুলিশ কর্মীদের।শেষে শুভেন্দু অধিকারী হাতিবাড়ি মোড়ে শ্রী পাট গোপীবল্লভপুরের প্রতিষ্ঠাতা রসিকানন্দ মহাপ্রভুর মূর্তিতে মালা দিতে আসার সময় কালো পতাকা দেখিয়ে চোর চোর চোরটা শিশির বাবুর ছেলেটা বলে শ্লোগান তুলতে থাকেন তৃণমূলের কর্মীরা।পরে শুভেন্দু অধিকারী স্থানীয় বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে বসানো গোপীবল্লভপুর বাজারে প্রায় ৮৪ টি পথ বাতির উদ্বোধন করে একটি বেসরকারি গেষ্ট হাউসে বিজেপির প্রয়াত দুই নেতা নগেন সিং এবং পূর্ণচন্দ্র ঘোষ এর স্মরণসভায় যোগ দেন।
স্মরণসভায় যোগ দিয়ে অবশ্য তাকে ঘিরে গোপীবল্লভপুর বাজারে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভ দেখানো নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন,আমাকে খুঁচাতে গেলে কি হয় এরা ভালো ভাবে জানে। প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে।তাই আজকে সন্ধ্যায় এসেছি, আগামী কিছুদিনের মধ্যে আবার এখানে দিনের বেলায় আসবো। সেদিন হাজারে হাজারে বিজেপি কর্মী সমর্থক নিয়ে এই গোপীবল্লভপুরে মিছিল করবো।
গোপীবল্লভপুরে দলীয় কর্মসূচিতে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী
MORE NEWS – সন্দেহজনক অবস্থায় মৃত্যু বি.টেক ছাত্রের
খড়্গপুর পৌরসভার 6 নম্বর ওয়ার্ডের ভবানীপুরের বাসিন্দা সুব্রত দাসের ছেলে শুভম দাস সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে মৃত্যু। ২২ বছর বয়সী নিহত যুবক চন্দ্রকোনা থেকে বি.টেক পড়ত।ঘটনা প্রসঙ্গে নিহতের বাবা সুব্রত দাস জানান, শনিবার তার ছেলে বাড়ি থেকে বের হয়। দীর্ঘক্ষণ না ফেরার পর মোবাইলে কল করা হয়, তারপর কল রিসিভ করা হয়নি। ফোনটা বারবার ব্যস্ত হতে থাকলো। কিছুক্ষণ পর ফোন বন্ধ হয়ে যায়। বিরক্ত হয়ে রাতে টাউন থানায় নিখোঁজ রিপোর্ট দায়ের করেন। গভীর রাতে, পুলিশের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া গেছে যে শুভমকে বলরামপুরে অবস্থিত আইআইটি মেডিকেল কলেজের কাছে পাওয়া গেছে। তাকে সীমানা প্রাচীরের কাছে বসা অবস্থায় দেখা গেছে। যদিও তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কিন্তু মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। কেউ তাকে বিষাক্ত পদার্থ খাইয়ে তার প্রাণ কেড়ে নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তারা প্রশাসনের কাছে ঘটনার তদন্ত দাবি করবেন।