Today Kolkata :- চরম উৎকন্ঠার দিন কাটছে হাওড়া বেগড়ির এক মায়ের। ছেলে পড়াশোনার জন্য রয়েছে ইউক্রেনে। গতকাল ইট থেকেই শুরু হয়েছে পরেরপর বোমাবর্ষণ, মর্টার সেলের বিস্ফোরণ। কয়েক বছর আগে হাওড়ার বেগড়ির বাসিন্দা রূপা পানের ছেলে সায়ন পান গেছে ইউক্রেনে। ইউক্রেনের এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে ছেলের চিন্তায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন তার মা। তিনি বলেন আজ সকালে একবার সাইরেন বাজার পরেই তার ছেলেকে হোস্টেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসতে নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। তাদেরকে তাড়াতাড়ি চলে যেতে নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। সেখানে পৌঁছলে তাদের বলা হয় আজকের দিনটা হোস্টেলেই থাকতে। যদি একবারের বেশি তিনবার পরপর সাইরেন বাজে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে চলে আসতে। সেখানে যে বেসমেন্ট রয়েছে সেখানে আশ্রয় নিতে বোমার হাত থেকে বাঁচার জন্য। তার মা দাবি করেন ওই বেসমেন্ট গুলো এমনভাবেই তৈরি যে ওখানে বোমা ফাটলেও বেসমেন্টের কোনো ক্ষতি হবে না।
উল্লেখ্য এছাড়াও হাওড়া জেলার বালি সহ অনেক জায়গাতে ইউক্রেনে চিকিৎসাশাস্ত্র শিক্ষার জন্য অনেক পড়ুয়া রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য অনুযায়ী বেশ কয়েক হাজার মানুষ এই মুহূর্তে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে আটকে রয়েছে। কিছু মানুষকে হাঙ্গেরির সীমানা দিয়ে বের করে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি যারা এখনো আটকে রয়েছে তাদেরকে উদ্ধার করার জন্য ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রক। পাশাপাশি ইউনিভার্সিটির কাছেও আবেদন, অফলাইন ক্লাস বন্ধ করে অনলাইন ক্লাস চালু করা হোক। ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রাজ্য আপদকালীন কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।
চরম উৎকন্ঠার দিন কাটছে হাওড়া বেগড়ির এক মায়ের।
ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে গিয়ে আটকে রয়েছে গোবরডাঙ্গার স্বাগতা সাধুখাঁ। উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে পরিবারের।
একজন অভিজ্ঞ আই এস অফিসারের নেতৃত্বে রাজ্যের ডাব্লু বি সি এস অফিসারদের রাখা হয়েছে ওই কন্ট্রোল রুমে। সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা অব্দি দুই শিফটে এই কন্ট্রোল রুম চালু থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। যদি কারো সহায়তার প্রয়োজন হয় তাহলে ২২১৪৩৫২৬, ১০৭০ নম্বরে ফোন করে সরাসরি সহায়তা নিতে পারবেন বলেই রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর।