More
    Homeখবরজনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকারি প্রচারের খামতি নেই।

    জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকারি প্রচারের খামতি নেই।

    মালদাঃ- জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকারি প্রচারের খামতি নেই। আর জনসংখ্যার নিয়ন্ত্রণ সফল করতে বিভিন্ন ব্যবস্থার পাশাপাশি বন্ধাত্যকরণের প্রচার ও তার বাস্তবায়নেও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগও থেমে নেই। কিন্তু এবার সেই পরিকল্পনার ভবিষ্যত নিয়েই প্রশ্ন ওঠে গেল। কারণ কথা মতো বন্ধাত্যকরণে অংশগ্রহণকারী মহিলাদের প্রাপ্য সরকারি সুবিধা অনুযায়ী বাড়ি ফেরার জন্য অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ার অভিযোগে ক্ষোভ ছড়াল। ফলে এবার বন্ধাত্যকরণ কর্মসূচির সফলতা নিয়েই অভিযোগ উঠল বিভিন্ন পরিবারের পক্ষ থেকে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হবিবপুরের বুলবুলচণ্ডী আর এন রায় গ্রামীন হাসপাতালে। যদিও অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিক্রিয়া চেয়ে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কতৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ না হওয়ায় কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
    ঘটনা প্রসঙ্গে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন হবিবপুর ব্লকের কলাইবাড়ি এলাকার একজন গৃহবধূর আলোরানিদেবী। তিনি বলেন,”সম্প্রতি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বন্ধাত্যকরণের প্রচার শুনে তাঁর বউমা সোনা বিশ্বাস আগ্রহী হয়েছিলেন বন্ধ্যাকরণে।

    সেই মতো শুক্রবার বুলবুলচণ্ডী আর এন রায় গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে আসেন বউমাকে। কথা ছিল বন্ধাত্যকরণ শেষে প্রত্যেককে সরকারি উদ্যোগে হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে। কিন্তু বন্ধাত্যকরণ শেষে অনেক রাত হয়ে গেলেও হাসপাতাল কতৃপক্ষ কোনো অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেয়নি। বারবার বলা সত্বেও একটাই উত্তর মিলেছে, অ্যাম্বুলেন্স নেই।বুলবুলচন্ডী গ্রাম প্রধানের উদ্যোগে ট্যাক্সি ভাড়া করে নিয়ে বাড়ি ফিরেন। এমনটা হয়রানি হতে হবে জানলে বন্ধাত্যকরণের জন্য বউমাকে নিয়ে আসতেন না। তাঁদের প্রশ্ন, তাহলে সরকারি উদ্যোগের জন্য বরাদ্দ অ্যাম্বুলেন্সের টাকা যাচ্ছে কোথায়? তাঁদের মতো অনেককেই এভাবে ভুগতে হয়েছে। তাঁরা চান উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুক।”

     জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকারি প্রচারের খামতি নেই।

    মিডিয়ায় যুব তৃণমূল নেতার ছবি পোস্ট। তাও আবার হাতে বন্দুক নিয়ে। ছবি সামনে আসতেই শোরগোল গোটা এলাকায়।

    বাস্তবিকই, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকার যেখানে ব্যাপক প্রচার ও অর্থ ব্যয় করছে। সেখানে বন্ধাত্যকরণের পর যদি কথা মতো অ্যাম্বুলেন্সে করে মহিলাদের বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা না হয়,তাহলে বন্ধাত্যকরণ নিয়ে আগ্রহে ভাটা পড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। তাই বিভিন্ন মহলের মানুষজনের মতে, আলোরানিদেবী মতো অনেকের প্রশ্নের উত্তর খোঁজার সময় এসেছে। অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়ার হাজার হাজার টাকা যাচ্ছে কোথায়? এর গভীর শিকড়ে পৌছানো দরকার। অনেকের মতে তবেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বন্ধাত্যকরণে আগ্রহ বজায় থাকবে। না হলে মুখ থুবড়ে পড়বে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ভবিষ্যত।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments