Today Kolkata:- তবলায় দেশের মধ্যে সেরা হয়ে নজর কাড়ল রায়গঞ্জের ১০ বছরের খুদে সৌমাশিস। তবলা, ঢোলক, পাখোয়াজ ও মৃদঙ্গমের বাল কৃষ্ণ বিভাগে সারা দেশের মধ্যে সেরা হয়ে নজর কাড়ল রায়গঞ্জের ১০ বছরের খুদে সৌমাশিস শিকদার। তার এই সফলতায় খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে পরিবার সহ সংস্কৃতি জগতে।
জানা গেছে, ছোট্ট সৌমাশিস মাত্র ৭ বছর বয়স থেকেই তবলার অনুশীলন শুরু করে। তার মা মালিনী বিশ্বাস জানান, যখন সৌমাশিস ঠিকমত কথা শেখেনি, তখন থেকেই সে পাখোয়াজ, তবলা সহ নানা ধরনের শব্দ যন্ত্র নিয়ে আগ্রহ দেখাতো। মালিনী দেবী বলেন, আমি নিজে গান শিখেছি ও গাইতে ভালোবাসি। তাই প্রথম থেকে ইচ্ছে ছিল, ছেলেকে গান শেখাবো। কিন্তু শব্দ যন্ত্রের প্রতি ছেলের আগ্রহ দেখে শিলিগুড়িতে তবলা শিল্পী সুবীর অধিকারীর কাছে তবলার তালিম নিতে শুরু করাই। তাঁরই উদ্যোগে এই জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করানো।
এরপর পেয়েছে জাতীয় স্তরের সফলতা। ভীষণ আনন্দ হচ্ছে। ছোট্ট সৌমাশিস নিজের মনে রেওয়াজ করার সময় দেখা গেল কখন চুটিয়ে ত্রিতালের কায়দা অনুশীলন করছে, কখনও তাঁর দু’হাতে খেলছে ঝাপতালের লহড়া। আবারও শাস্ত্রীয় সংগীতের সুরে দিনে বেশ কিছু সময় অনুশীলন করে সে। আগামী দিনে জগৎ বিখ্যাত তবলা শিল্পী জাকির হোসেনের মত হতে চায় রায়গঞ্জ সুদর্শন পুর সারদা বিদ্যামন্দিরের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র সৌমাশিস। সে বলে, আমি খুব ছোট থেকেই তবলা বাজাই।
দিনে রেওয়াজের জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময়সূচি না থাকলেও প্রতিদিন কঠোর অনুশীলন করি। এমন পুরস্কার পেয়ে ভীষণ ভালো লাগছে। সে জানায়, তার এই সফলতার পেছনে বাবা শুভাশীষ শিকদার, মা মালিনী বিশ্বাস ও গুরু সুবীর অধিকারীর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে তারা না থাকলে এমনটা সম্ভব হত না। সদ্যই সেরার কাগজ এসে পৌছেছে বাড়িতে। আগামী দিনে কোলকাতার কোনো বড় অডিটোরিয়ামে সকলের সামনে পুরস্কৃত করা হবে, তুলে দেওয়া হবে মেমোন্টো, সার্টিফিকেট। তারপর রয়েছে একটি বিদেশ যাত্রার সুযোগ।
এই সুযোগ আমেরিকার মত দেশে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে শহরের উঠতি তারকার। এদিকে, সৌমাশিস জাতীয় স্তরে এত বড় সফলতা তুলে আনলেও তার বাবা শুভাশীষ শিকদার এতে খুব বেশি খুশি নন। তিনি বলেন, ও রেওয়াজ কম করে। ওকে আরও অনুশীলন করতে হবে। আরও রেওয়াজ করলে আগামী দিনে ওর মধ্যে বড় শিল্পী হওয়ার রসদ লুকানো আছে। এদিন শহরের এক খুদে শিল্পীর এতবড় সফলতায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন রায়গঞ্জ কালচারাল ফোরামের সম্পাদক শান্তনু চট্টোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, রায়গঞ্জ শহর বরাবরই সাংস্কৃতিক শহর হিসেবে প্রসিদ্ধ। এই শহরের খুদে শিল্পী সৌমাশিস যেভাবে কঠোর অনুশীলন করে জাতীয় স্তরে সফলতা তুলে এনেছে, সেটা দেখে অন্যেরাও নিশ্চয়ই উজ্জীবিত হবে। বড় শহরের ছেলেমেয়েরা তাদের প্রতিভা প্রকাশে যতটা সুযোগ পায়, আমাদের ঘরের ছেলেমেয়েদের সেই সুযোগ অত্যন্ত কম। তবুও ও যে সফলতা দেখিয়েছে, তাতে আমাদের শহরের কালচারাল ফোরামের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাই। তবলায় দেশের