নির্বাচনের পরেও হিংসা অব্যাহত গোটা রাজ্যে। এবার যার সাক্ষী থাকল বাঁকুড়ার সোনামুখী। গত রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মানিক বাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের কাষ্ঠসাজ্ঞা গ্রামে। সেখানে দু’পক্ষের মারধোরের ঘটনায় বিজেপির ৭ জন এবং তৃণমূলের ৪ জন গুরুতর আহত হয়। এরপর প্রত্যেককেই চিকিত্সার জন্য সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ সোনামুখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামি কাল রাতে কাষ্ঠসাজ্ঞা গ্রামে আসেন।এবং তাঁরই উপস্থিথিতিতে তৃণমূলের তরফে আক্রমণের চেষ্টা করা হলেও তারা সফল হয়নি। কিন্তু পরে তিনি ফিরে যাওয়ার পরই এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলার পাশাপাশি দলের বেশ কিছু কর্মীকে ব্যাপক মারধোর করা হয়।
এরপর সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দীবাকর ঘরামি পরে আহতদের দেখতে সোনামুখী গ্রামীণ হাসনাতালে যান। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ঐ গ্রামে তিনি গেলে তৃণমূল কর্মীরা গো ব্যাক আওয়াজ তোলে। সেইসঙ্গে তাঁর গাড়িতেও হামলা চালানোর চেষ্টা হলেও সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের সৌজন্যে তিনি বেঁচে যান। পরে তৃণমূল আশ্রিত দূস্কৃতিরা বিজেপি কর্মীদের একজনের বাড়ি ভাঙ্গচুর ও অন্যান্যদের ব্যাপক মারধোর করে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তৃণমূলের তরফে বিজেপির দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে দলের সোনামুখী ব্লক সভাপতি বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি বিধায়ক প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ। তাই ঐ দলের লোকেরাই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল। পরে নিজেরাই মারপিটে জড়িয়ে পড়ে। ঐ ঝামেলা থামাতে গিয়ে বিজেপি কর্মীদের হাতে তৃণমূল কর্মীরা আক্রান্ত। একই সঙ্গে বিজেপি বিধায়ককে তৃণমূল কর্মীরা নিরাপদে গ্রাম থেকে বের করে আনে বলেও তিনি দাবি করেন। গত রাতের এই পরিস্থিতি ঘিরে কার্যত থমথমে পরিস্থিতি সোনামুখী তে।