ত্রিপুরায় প্রত্যাবর্তন বিজেপির (BJP)। ত্রিপুরায় ক্ষমতা ধরে রাখতে চলেছে গেরুয়া শিবির। ইন্ডিয়া টুডে- অ্যাক্সিসের বুথ ফেরত সমীক্ষা ফলাফল অনুযায়ী , ৬০ বিধানসভা আসনের ত্রিপুরায় বিজেপি এবং তার জোটসঙ্গী আইপিএফটি পেতে চলেছে ৩৬ থেকে ৪৫ টি আসন। এককালে ত্রিপুরা (Tripura) শাসন করা বাম এবং কংগ্রেস আটকে থাকছে ৬ থেকে ১১টি আসনের মধ্যে। আদিবাসী অধ্যুষিত আসন গুলিতে ভাল ফল করলেও ত্রিপুরার রাজা প্রদ্যোৎ কিশোরের ঝুলিতে ৯ থেকে ১৬টির বেশি আসন পড়বে না বলেই জানাচ্ছে সমীক্ষার ফল।
দেশের উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে ভোটগ্রহণ হয়েছিল গত ১৬ ফেব্রুয়ারি। ৬০ আসনের ত্রিপুরায় প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল মোদি-শাহ-মানিকের বিজেপি এবং বাম-কংগ্রেস। সরাসরি জোটের পথে না হাঁটলেও আসন রফা করে বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হয়েছিল একসময় পরস্পরের কট্টর বিরোধী দুই দল। তবে তার ফল ভোটবাক্সে পড়ল না বলেই মনে করা হচ্ছে।
এবারের ত্রিপুরার নির্বাচনে (Tripura Assembly Election) বড় ফ্যাক্টর হয়ে ছিল ত্রিপুরার রাজা প্রদ্যোৎ কিশোর মাণিক্যের দল তিপ্রামোথা। ৬০ বিধানসভা আসনের ত্রিপুরা বিধানসভার (Tripura Assembly) জনজাতি অধ্যুষিত। ২০টিতে ভাল প্রভাব রয়েছে প্রদ্যোৎ কিশোরের তিপ্রামোথা পার্টির। এই ২০ আসনের বাইরেও আরও ২২টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে প্রদ্যোতের পার্টি। এক্সিট পোল অনুসারে , এই আদিবাসী অধ্যুষিত আসনগুলিতে প্রায় ৫১ শতাংশ ভোট গিয়েছে তিপ্রামোথার দিকে। তবে, এই সমস্ত কেন্দ্রে ভালই ভোট শেয়ার পেয়েছে বিজেপি।
ইন্ডিয়া টুডে এবং অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী , তিপ্রামোথার ফলে লাভবান হয়েছে বিজেপি। ভাগ হয়ে গিয়েছে বিরোধী জোট। জনজাতি অঞ্চলে ৫১ শতাংশ ভোট পেতে পারে তিপ্রা মোথা। সাধারণ ও ওবিসি অঞ্চলে বিজেপি ৬০ শতাংশ ভোট পেতে পারে। সংখ্যালঘু এলাকায় ৬৭ শতাংশ ভোট পেতে পারে বাম-কংগ্রেস জোট।
ইন্ডিয়া টুডে এবং অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়ার বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে , ২০১৮ সালে বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ৪৩ শতাংশ। যা এবার বেড়ে হতে পারে ৪৫ শতাংশ। বাম এবং কংগ্রেসের ভোট দাঁড়াতে পারে ৩২ শতাংশ। Matrize এর বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, ত্রিপুরায় বিজেপি পাচ্ছে ২৯ থেকে ৩৬টি আসন। বাম পাচ্ছে ১৩ থেকে ২১টি। ETG র বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল অনুযায়ী, BJP-IPFT জোট পাচ্ছে ২৪টি আসন। বাম-কংগ্রেস জোট ২১টি। তিপ্রামোথার পেতে পারে ১৪টি আসন।