Today Kolkata:- দু-দিনের ঝড় শিলাবৃষ্টিতে মাথায় হাত আলু চাষিদের। দু-দিনের ঝড় শিলাবৃষ্টিতে জল জমে গিয়েছে আলু খেতে আর তাই মাথায় হাত জেলার আলু চাষিদের। দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন সকল আলু চাষীরা। এইভাবে জলের তলায় আলু বেশিদিন থাকলে ক্ষতি হতে পারে, পচন ধরতে পারে আলুতে। কৃষি দপ্তর মতে আলুর বয়স ৮০ থেকে ৯০ দিন পেরিয়ে গেছে এক দুদিন জলের তলায় থাকলে তেমন কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। যদিও কৃষি দপ্তরের কথায় কৃষকদের দুশ্চিন্তা কাটছে না।
পাশাপাশি আলুর বন্ড নিয়ে জেলায় জেলায় কৃষকদের কালোবাজারি অভিযোগ উঠছে, অন্যদিকে জলের তলায় বিঘার পর বিঘা আলু ক্ষেত। আলু তুললেও হিম ঘরে রাখবেন কি করে সেই দুশ্চিন্তার ভাজ ফেলেছে কৃষকদের কপালে। কারণ একজন কৃষককে কিছু ৫০ বস্তার বেশি আলুর বন্ড দেওয়া হয়নি তাই বাড়তি আলু নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে একদিকে কৃষকরা প্রথম থেকেই ছিলেন গদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে উঠেছে কালবৈশাখী ঝড় বৃষ্টি। ডুয়ার্সের গয়েরকাটার সাঁকোয়াঝোড়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ বিঘে আলু খেত এখনো জলের তলায়।
কৃষকরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন সেই আলুগুলিকে বাঁচানোর, কিন্তু জল বের করার কোন উপায় নেই তাদের কাছে বলে দাবি কৃষকদের। তাই ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা।এদিন আলু চাষী সুদেব মন্ডল জানান, লোন ধার করে আলু করেছি, এবারেও বিরাট লসের সম্মুখীন হতে হচ্ছে, ২০-২৫ বিঘে আলু এখনো পর্যন্ত জলের নিচে রয়েছে। গতবছরও একই সমস্যায় পড়েছিলাম। আবার বৃষ্টি আসলে বাড়িতে ফসল নিয়ে যাওয়া কোনো ভাবেই সম্ভব হবে না। জল কাদায় গাড়িও মাঠে ঢোকানো সম্ভব হচ্ছে না। পাশাপশি তিনি আলুর বন্ড নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ তুলে বলেন, বন্ড নেতারা বিক্রি করছে।
Manish Kothari vs ED ইডির জিজ্ঞাসাবাদে মুখ খুলে দিলেন মণীশ কোঠারি , চরম বিপদে কন্যা সহ অনুব্রত।
প্রকৃত কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছে। তাপস মন্ডল নামে আরেক আলু চাষী বলেন, ফলন যেমন কম হয়েছে তার মধ্যে আলুর বাজার ও নেই। বৃষ্টিতে জল কাদায় শ্রমিকরা কাজ করতে চাইছে না। একে তো আলুর দাম নেই তার মধ্যে বৃষ্টিতে ফসল তুলতে সমস্যা তার মধ্যে বন্ড নিয়ে কালোবাজারি কি করবো বুঝতে পারছি না। যদিও কৃষি দপ্তরের দাবি এবছর আলুর ফলন ভালো হয়েছে প্রতি বিঘেতে ৮০ থেকে ৮৫ প্যাকেট আলু হয়েছে ধূপগুড়ি বানারহাট ব্লকে।
কৃষি দপ্তরের দাবি যেহেতু এই বছর রোগ পোকার আক্রমণ কম হয়েছে এবং রাসায়নিক সারের প্রয়োগ কম হয়েছে তাই কৃষকরা লাভের মুখ দেখতে পারবেন। আর আলুর বন ওপেন টু অল করে দেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক চাষীরা সকলেই বন্ড পেয়েছেন। এবছর ধূপগুড়ি এবং বানাহাট ব্লক এ ১ কোটি প্যাকেট আলু উৎপাদন হয়েছে। তবে আমাদের দুই ব্লকে আলু হিমঘরে রাখার ২৪ লক্ষ প্যাকেট।তাই সবাইকে সন্তুষ্ট করা সম্ভব হবে না কিছু জায়গায় খামতি থেকে যাবে বলে জানান ধূপগুড়ির জেলা সহ কৃষি অধিকর্তা তিলক বর্মন।