দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। দেশবাসীর জন্য নতুন বছরের প্রথমেই এল স্বস্তির খবর। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন-কে সরকারিভাবে অনুমোদন দিল ড্রাগ কন্ট্রোলার-জেনারেল অব ইন্ডিয়া বা DCGI। তবে আপাতত শর্তসাপেক্ষে এবং জরুরি ভিত্তিতে এই ভ্যাকসিন সারা দেশে দেওয়া হবে।
রবিবার সাংবাদিক সম্মেলেনর মাধ্যমে এই কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন-এই দুটি ভ্যাকসিনকে জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হল। ডিসিজিআই জানিয়েছে, ‘কোভিশিল্ডের সুরক্ষা-নিশ্চয়তা ৭০ শতাংশের বেশি। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে রাখা যাবে।’ সম্পূর্ণরূপে দেশে তৈরি এই দুই ভ্যাকসিন Covishield ও Covaxin খুব শীঘ্রই বাজারে আসছে। তবে এখনই আপামোর দেশবাসীর টিকাকরণ হবে না। টিকাকরণ হবে জরুরি ভিত্তিতে।
ডিসিজিআই বলেন, ‘পর্যাপ্ত পর্যালোচনার পর বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিডিএসসিও। সেইমতো জরুরি অবস্থায় নিয়ন্ত্রিতভাবে সেরাম এবং ভারত বায়োটেকের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’ যে দুটি টিকাই দুটি ডোজে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিসিজিআই।
টিকার সুরক্ষার বিষয়ে একেবারে নিশ্চিত হয়েই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন ডিসিজিআই। তিনি বলেন, ‘সুরক্ষা নিয়ে ন্যূনতম উদ্বেগ থাকলেও আমরা কোনও কিছুর অনুমোদন দিতাম না। হালকা জ্বর, ব্যথা এবং অ্যালার্জির মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রতিটি টিকার ক্ষেত্রে সাধারণ বিষয়।
এ দিন ভ্যাকসিন দুটিকে অনুমোদন দেওয়ার পরই ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লেখেন, “অভিনন্দর ভারত”। প্রসঙ্গত, কোভিশিল্ড তৈরি করেছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা। পুণের সিরাম ইন্সটিটিউটে উত্পাদন হচ্ছে। অন্যদিকে, ভারত বায়োটেক তৈরি করেছে কোভ্যাকসিন। উল্লেখ্য, জাইডাস ক্যাডিলার তৈরি জাইকোভ ডি-র তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল রান চলছে।