সন্দেশখালি সম্পূর্ণ ঘটনার ক্ষেত্রে মহিলা কমিশনের প্রধান চেয়ারপার্সন রেখায়ই যে মূল চক্রান্তকারী সে বিষয়ে প্রায় নিশ্চিত তৃণমূল। তাই তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানাতে চলেছে যাতে রেখার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান রেখা শর্মার বিরুদ্ধে তদন্ত চাইছে।কারণ সন্দেশখালি নিয়ে একের পর এক ভিডিও প্রকাশ্যে আসছে তার বিরুদ্ধে যদিও সংবাদ মাধ্যম ভিডিওগুলোর কোনো সত্যতা যাচাই করেনি। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলার রুজু করার দাবিও তোলা হয়েছে।
সম্প্রতি এক ভিডিও প্রকাশ হয় যেখানে দেখা যায় যে এক নির্যাতিতা অভিযোগ করেন যে, সন্দেশখালিতে যে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা হয়েছিল তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। অভিযোগ উঠেছে যে দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা ঘটনা স্থলে গিয়ে সাদা কাগজে মিথ্যেভাবে ধর্ষণের ধর্ষণের অভিযোগ হিসেবে সই করিয়েছেন। সন্দেশখালিতে শাহজাহান শেখ নামে এক ব্যক্তি এবং তার দলবলের বিরুদ্ধে জমি দখল,মহিলাদের উপর নির্যাতন নানা রকম বিষয় অভিযোগ ওঠে এবং সেই পরিস্থিতি দেখার জন্যই মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা সন্দেশখালিতে আসেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে রেখা জানান যে তিনি দিনের পর দিন মহিলাদের উপর নানা রকম নির্যাতনের খবর পেয়েছেন এবং মহিলারা তার কাছে নালিশ জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন এই পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপ্রতি শাসন ছাড়া আর কোনরকম উপায় নেই।
সন্দেশখালির স্টিং অপারেশনের ভিডিও গত শনিবার সামনে আসতেই বেশ কোণঠাসা পরিস্থিতিতে পড়েছে বিজেপি। প্রকাশিত এই ভিডিওতে গঙ্গাধর নামক বিজেপি নেতার বয়ান ঘিরেও যথেষ্ট শোরগোল দেখা গেছে। তার দাবি হলো বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথা মতোই টাকা দিয়ে ধর্ষণের মিথ্যে অভিযোগ পুলিশে দায়ের করানো হয়েছে। যদিও শুভেন্দু অধিকারী এই বিষয়টিকে কোনমতে মানতে চাননি। শুভেন্দু বরং বলেছেন যে এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ মিথ্যে এবং এটি তৃণমূলেরাই সাজিয়েছে বলে তার মত। সন্দেশখালির এই প্রকাশিত ভিডিওটি নির্বাচন কমিশনের নজরে আনার জন্য তৃণমূল তাদের সদর দপ্তরের জান এবং তৃণমূলের প্রতিনিধি তথা রাজ্যসভার সংসদ সাগরিকা ঘোষ বলেছেন বিজেপির নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এই ঘৃণ্য চক্রান্ত করেছেন,যা এখন প্রকাশ্যে চলে এসেছে জনগণের সামনে।