পরীক্ষামূলক ভাবে এক-দুই বছরের জন্য কৃষি আইন চালু করার জন্য চাষীদের কাছে আর্জি জানালেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন যে যদি দেখা যায় চাষীদের এতে লাভ হচ্ছে না, তাহলে প্রয়োজনীয় যাবতীয় সংশোধনী করে নেবে কেন্দ্র বলে তিনি জানান। অন্যদিকে যতদিন মোদী প্রধানমন্ত্রী আছেন, পুঁজিপতিদের কাছে চাষীদের জমি চলে যাবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন অমিত শাহ। এভাবে বড়দিনে মোদী ছাড়াও সরকারের দুই বরিষ্ঠ মন্ত্রী চাষীদের আশ্বাস দিলেন যে তাদের স্বার্থ রক্ষিত হবে।
এদিন রাজনাথ সিং বলেন যে যারা ধর্নায় বসেছেন তারা চাষী ও চাষী পরিবারের মানুষ। তাদের প্রতি সরকার শ্রদ্ধাশীল বলে তিনি জানান। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন যে তিনি চাষীর ঘরের ছেলে ও মাঠে ঘাটে কাজ করেছেন। দিল্লির সভায় রাজনাথ বলেন যে চাষীদের বিভ্রান্ত করছে একাংশ নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য। রাজনাথ বলেন যে তিনি আশ্বস্ত করতে চান যে বিলে এমন কোনও ধারা নেই যেটা চাষীদের স্বার্থের পরিপন্থী। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য যে উঠছে না সেটাও ফের বলেন তিনি। রাজনাথ বলেন যে একদুই বছর চলুক এই কৃষি আইন পরীক্ষামূলক ভাবে, যদি দেখা যায় যে সেগুলি কৃষকদের স্বার্থে নয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী মোদী অবশ্যই বদলে দেবেন বলে জানান রাজনাথ সিং।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিল্লিতেই আরেকটি সভায় কৃষি আইনের জন্য ব্যাটিং করেন। তিনি বলেন যে বিরোধীরা একেবারে মিথ্যা কথা বলছে। কৃষি হিতে সরকার সচেষ্ট বলে তিনি জানান। যতদিন মোদী প্রধানমন্ত্রী আছেন ততদিন কোনও পুঁজিপতি চাষীদের জমি নিতে পারবে না বলে জানান অমিত শাহ। এদিন পিএম কিষানের আওতায় চাষীদের টাকা দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি কৃষি আইনের বিরোধীদের একহাত নেন। পশ্চিমবঙ্গে পিএম কিষান চালু না করার জন্য বিশেষ ভাবে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।