Today Kolkata:- পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা শহরের নয়াগঞ্জে আনুমানিক সাত-আটশো বছরের পুরনো একটি বড়ো অস্তলের মন্দির রয়েছে। তৎকালীন বর্ধমান রাজার আমলে এলাকায় বহু মন্দির স্থাপিত হয়। সেই সমস্ত মন্দির গুলোর মধ্যে অন্যতম হল বড় অস্তলে রামানুজ সম্প্রদায়ের এই মন্দির। ১৪৪০ খ্রীষ্টাব্দের আগেই রামানুজ সম্প্রদায়ের স্বরূপ রামানুজ দাস আচারি বড়ো অস্তল মন্দির স্থাপন করেছিলেন। অষ্টধাতুর তৈরি বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে এই মন্দিরে। বড়ো অস্তলের ঝুলন ও রথ চন্দ্রকোনার বড়ো উৎসব হিসেবে পরিচিত। ঝুলন ও রথএ বহু মানুষের সমাগম হয়। প্রতিবছরই ধূমধাম করে বড় অস্তলে পুজো হওয়ার পর বহু মানুষ শোভাযাত্রা করে এই রথ টানে। বড় অস্তল থেকে রথ টেনে নিয়ে যাওয়া হয় পৌরসভার 3 নং ওয়ার্ড ঠাকুরবাড়ি বাজারে মাসির বাড়িতে।
সেখানে আট দিন থাকার পর উল্টোরথে ফের শোভাযাত্রা করে একইপথে নয়াগঞ্জের বড় অস্তলে আনা হয় রথ। বর্তমান মহারাজ সৌমেন রামানুজ দাস আচারি জানান, চন্দ্রকোনার এই বড় অস্তলের সঙ্গে সংযোগ আছে চন্দ্রকোনার ঝাঁকরা ও আনন্দপুর থানার খেতুয়া ও কালীপুরের রথের। রথের দিন বড় অস্তল থেকে বিষ্ণু বিগ্রহ নিয়ে গেলে তবেই বাকি ওই দুই জায়গায় পূজার্চনা শুরু করা হয়। কোভিডের জেরে দুবছর বন্ধ ছিল এই রথযাত্রা। এবার সমস্ত রীতিনীতি মেনে ধুমধাম করে আয়োজন হবে চন্দ্রকোনার ঐতিহ্যের ৭০০ বছরের পুরানো রথযাত্রা উৎসব। হাতে আর কয়েকটা ঘন্টা ,চন্দ্রকোনায় ঐতিহ্যের রথযাত্রা উপলক্ষে প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা শহরের নয়াগঞ্জে তৎকালীন বর্ধমান রাজার আমলে বহু মন্দির স্থাপিত হয়।
MORE NEWS – বকেয়া টাকা না দেওয়ায় ঠিকাদারের চোখে লঙ্কাগুঁড়ো ছেটাল শ্রমিক।
দীর্ঘদিন ধরে কাজের বকেয়া টাকা দিচ্ছিল না ঠিকাদার। অবশেষে বুধবার সাত সকালে ওই ঠিকাদারকে শাস্তি দিতে তাঁর ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালাল এক শ্রমিক। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল থানার রঙ্গীবসান গ্রামে। তবে অভিযুক্ত হামলাকারী শ্রমিক এই ঘটনার পরেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, মহিষাদলের রামবাগের বাসিন্দা মন্টু খাঁ (৬৩) দীর্ঘদিন ধরেই ঠিকাদারের কাজ করেন। সেই সূত্রেই নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায় একটি কাজ হয়েছিল তাঁর। সেই কাজেই শ্রমিক হিসেবে গিয়েছিলেন স্থানীয় কাপাসএড়্যার বাসিন্দা রামলাল ঘড়াই (৭০)। CONTINUE READING