সীমান্ত পার করে ওরা ঢুকে পড়েছিল। বড় নাশকতার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু রাস্তাটা চেনা ছিল না। তাই কোন পথে এগোবে বুঝতে পারছিল না। কিন্তু এগোচ্ছিল সন্দেজনকভাবেই। যদিও তাদের লক্ষ্য বানচাল করে দিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। বুধবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার চাঁদগাম গ্রামে তখন বাসিন্দাদের ঘুম ভাঙল। প্রবল ঠাণ্ডায় শোনা যাচ্ছে তীব্র গুলির শব্দ। পাক জঙ্গিদের সঙ্গে তখন সেনাবাহিনীর গুলি বিনিময় চলছে। এই সংঘর্ষে অন্তত তিনজন জৈশ–ই–মহম্মদ জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। নিকেশ হওয়া জঙ্গিদের মধ্যে একজন পাকিস্তানের নাগরিক বলে খবর।
পুলওয়ামায় তুমুল গুলির লড়াই, নিকেশ তিন জৈশ জঙ্গি
Read More-প্রধানমন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ পাঞ্জাবের ফ্লাইওভারে! নিরাপত্তায় বড়সড় গলদে’ রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের
এই বিষয়ে আইজিপি কাশ্মীর বিজয় কুমার বলেন, ‘পুলওয়ামার চাঁদগামে সেনাবাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে ৩ জেএম সন্ত্রাসবাদী নিকেশ হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন পাকিস্তানের নাগরিক। তাদের কাছ থেকে অপরাধমূলক সরঞ্জাম, অস্ত্র এবং গোলাবারুদ–সহ দুটি এম–৪ কার্বাইন এবং ১টি একে সিরিজের রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।’
ঠিক কী ঘটেছিল ভূস্বর্গে? সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পার করে এপারে ঢুকেছিল জঙ্গিরা। তারা এখানে বড় নাশকতার ছক কষেছিল। তখন চাঁদগাম এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছিল যৌথ বাহিনী। তখনই দেখা যায় লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা বন্দুক নিয়ে গুলি চালাতে চালাতে এগিয়ে আসছে। পালটা জবাব দেয় সেনাবাহিনীও। নিকেশ হয় ৩ জঙ্গির। আর মঙ্গলবারই কুলগামে এনকাউন্টারে দুই জঙ্গি নিকেশ হয়েছিল।
এই পরিস্থিতিতে কাশ্মীর জোন পুলিশ টুইট করেন। তাঁরা জানান, ‘পুলওয়ামার চাঁদগাম এলাকায় এনকাউন্টার শুরু হয়েছে। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে। আরও বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।’ জানা গিয়েছে, মধ্যরাতে গোপন সূত্রে এই জঙ্গিদের খবর মেলে। তখনই ব্যবস্থা নিয়ে একটি যৌথ কর্ডন এবং অনুসন্ধান অভিযান শুরু হয়। অনুসন্ধান দল সন্দেহজনক জায়গাটি ঘিরে ফেলে। তখনই তারা গুলি চালায়। পাল্টা এনকাউন্টার শুরু হয়।