রবিবার ২৭ শে ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের সারা জেলার পৌরসভা ভোটের রায় দিলো আমজনতা। তবে এই ভোটকে কেন্দ্র করে বঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে শহরের পতিছবির রাজনৈতিক পারদ ছিল যথেষ্ট তুঙ্গে। শাসক দলের বিরুদ্ধে বিজেপি সমর্থকেরা ভুরি ভুরি অভিযোগ এনেছে অবাধ ভোট লুঠের! ঝরেছে রক্ত। রবিবার ভোট গ্রহণের পরেই বিজেপির জেলা থেকে রাজ্য স্তরীয় নেতা ও কর্মীরা রাস্তায় বসে ভোট লুঠপাট ও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে গনতন্ত্র লুঠের আঙুল তোলে শাসকের বিরুদ্ধে। নালিশ জানানো হয় নির্বাচন কমিশনেও। রাতেই রাজ্য বিজেপি সূত্রে সোমবার প্রতিবাদ বিক্ষোভ ও বাংলা বনধ এর ডাক দেওয়া হয়।
পৌর নির্বাচনে অবাধে ভোট লুট, সন্ত্রাস হয়েছে, রক্তাক্ত হয়েছে বাংলা। এই অভিযোগ তুলে সোমবার রাজ্য জুড়ে ১২ ঘন্টার বনধ ডেকেছিল বিজেপি। অন্য দিকে রবিবার রাতেই নবান্নের তরফে বনধ এর বিরোধিতা করে সরকারি বার্তা দেওয়া হয় যথা সময়েই খুলতে হবে সরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, থেকে দোকানপাট এবং সচল রাখতে হবে পরিবহনও। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির এই বনধ ব্যার্থ করতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকারও।
একদিকে বনধ সফল করতে বিজেপি, অন্যদিকে এই বনধ কে ব্যর্থ করতে তৃণমূল সোমবার সকাল সকালই নেমে পড়ে রাস্তায়। কোথাও কোথাও শুরু হয় তুমুল বাকবিতন্ডা। শাসক বিরোধী পক্ষের ক্ষোভ একে অপরের বিরুদ্ধে। ১২ ঘন্টার বনধ সফল করতে মেদিনীপুর শহরে মিছিল করে জেলা বিজেপি। মেদিনীপুর শহরের কালেক্টরেট মোড়ে প্রায় আধ ঘণ্টার জন্য অবরোধ করে বিজেপি। নেতৃত্ব দেন বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি সমিত দাস, জেলা সহ-সভাপতি অরূপ দাস, শুভজিৎ রায়, রমাপ্রসাদ গিরি, শঙ্কর গুছাইত সহ বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্ব। খড়্গপুর শহরেও বনধ এর সমর্থনে পথে নামেন বিজেপি নেতৃত্ব।
বনধের পক্ষে, বিপক্ষে রাস্তায় চললো সর্বদলের রাজনৈতিক তরজা , বিজেপির ডাকা বনধে স্বাভাবিক জনজীবন।
চরম উৎকন্ঠার দিন কাটছে হাওড়া বেগড়ির এক মায়ের।
অন্য দিকে মেদিনীপুর, খড়্গপুর সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিজেপির ডাকা এই বনধকে ব্যর্থ করতে পথে নামেন তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। তৃণমূল সূত্রে খবর, বিজেপির বনধের বিরোধিতা করে বিকেল থেকেই শহরে মহামিছিলে নামবে জেলা তৃণমূল।
অন্য দিকে, আজ রাজ্য বামফ্রন্টের তরফে ‘গণতন্ত্র হত্যা বিরোধী দিবস’ পালন করা হবে বিবৃতি জারি হয়েছে।
যদিও সার্বিক ভাবে জেলায় বনধ এর তেমন কোনও প্রভাবই পড়েনি। সোমবার স্বাভাবিক ছন্দেই চলছে জনজীবন। চলছে বাজার হাট, থেকে যানবাহন সব কিছুই। তবে, সরকারি বাস চললেও বেশ কিছু বেসরকারি বাস মালিকেরা ঝুঁকি নেননি। বেশ কিছু রুটে বেসরকারি বাস তুলনামূলক কম ছিল। অটো, টোটো থেকে প্রাইভেট চারচাকা অবশ্য স্বাভাবিক ছন্দেই চলেছে।