More
    Homeপশ্চিমবঙ্গবাংলায় আংশিক লকডাউন নিয়ে রবি বিকালেই বড় ঘোষণার পথে রাজ্য সরকার

    বাংলায় আংশিক লকডাউন নিয়ে রবি বিকালেই বড় ঘোষণার পথে রাজ্য সরকার

    বাংলায় ক্রমশ বাড়ছে ওমিক্রন। ঝড়ের গতিতে বাড়ছে করোনার সংক্রমণও। এই অবস্থায় কড়া বিধি নিষেধের পক্ষে রাজ্য প্রশাসন। নবান্ন সুত্রের খবর, যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে সোমবার থেকেই আংশিক লকডাউনের পক্ষে হাঁটতে পারে সরকার। আর তা সোমবারেই ঘোষণা হতে পারে বলে খবর ছিল।

    কিন্তু তাত্‍পর্যপূর্ণ ভাবে আজ রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছে রাজ্যের মুখ্যসচিব।

    দুপুর তিনটের সময়ে এই সাংবাদিক বৈঠক হতে পারে। ফলে মনে করা হচ্ছে আজ রবিবারেই আংশিক লকডাউন নিয়ে বড় ঘোষণা রাজ্যের তরফে হতে পারে। আর তা সোমবার থেকেই কার্যকর হবে। এমনটাই মনে করা হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে কিছু জানানো হয়নি।

    তবে আজ রবিবার নবান্ন ছুটি থাকলেও আজ খোলা। সকালেই সংক্রমন এভাবে বৃদ্ধি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক হয়। স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। সেখানেই সম্ভাব্য বিধিনিষেধ নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, সাম্প্রতিক সংক্রমণের গ্রাফ নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

    এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রবিবার সকালে মুখ্যসচিবের সঙ্গে ফোনে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে সরকারি কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে গত কয়েকদিন আগেই স্বাস্থ্য ভবন থার্ড ওয়েভের কথা বলে। বাংলায় আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই প্রত্যেকদিন গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার করে মানুষ করোনা আক্রান্ত হতে পারে বলেও পূর্বাভাস দেয়।

    কলকাতা এবং শহরতলিতে ছবিট সবথেকে ভংকর বলেও পূর্বাভাস ছিল স্বাস্থ্য ভবনের। আর সেই পূর্বাভাস কার্যত সত্যি হতে চলছে। কারন এই বার্তা সামনে আসার পরেই বাংলার করোনা গ্রাফ উপরের দিকে উঠছে। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজারেরও বেশী মানুষ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওমিক্রনও। মোট ২০ জন এই মুহূর্তে বাংলায় নতুন করোনা ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত। এই অবস্থায় এখনই সতর্ক হওয়ার কথা বলছেন চিকিত্‍সকরা।

    এমনকি এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্‍কারে উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিত্‍সক সুশান্ত কুমার রায় কার্যত কিছুটা অশনি সঙ্কেতই শোনান। তাঁর দাবি, পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়। ফলে এখন থেকেই সচেতন না হলে মানুষকে ভয়ংকর পরিস্থিতির সামনে পড়তে হতে পারে বলে দাবি তাঁর।

    শুধু তাই নয়, আগামী মার্চ মাসেই পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক হতে পারে বলেও দাবি ওই আধিকারিকের। উল্লেখ্য, দেশের চিকিত্‍সকদের একাংশ আগেই এই বিষয়ে সতর্ক করেছে। চিকিত্‍সকরা বলছেন, পরিস্থিতি যা তাতে ভারতে ফেব্রুয়ারিতেই হয়তো থার্ড ওয়েভ আছড়ে পড়বে। কার্যত একই কথা শোনা গেল এবার রাজ্যের চিকিত্‍সকদের মুখেও।

    অন্যদিকে ক্রমশ চিকিত্‍সকদের ফের একবার আক্রান্ত হওয়ার খবর ক্রমশ সামনে আসছে। হাজরার চিত্তরঞ্জন সেবাসদনে করোনা থাবা। এখনও পর্যন্ত ২৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন সেখানে। আক্রান্তদের মধ্যে ২৩ জনই চিকিত্সক, একজন নার্সিং স্টাফ বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে শিয়ালদহের আর আহমেদ ডেন্টাল হসপিটালেও বেশ কয়েকজন চিকিত্‍সক এবং স্বাস্থ্য কর্মী আক্রান্ত হচ্ছেন।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments