বিধানসভা ভোটের আগে লাগু হচ্ছে না নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন (CAA)। মঙ্গলবার সিএএ কার্যকরের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল লোকসভা ও রাজ্যসভার বিশেষ কমিটি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সিএএ কার্যকর করার মেয়াদ ৯ এপ্রিল ও ৯ জুলাই, ২০২১ পর্যন্ত বাড়ানো হল। নোটিসে বলা হয়েছে, ‘২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর বলা হয়েছিল, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি থেকেই লাগু হয়ে যাবে। কিন্তু আইনটি এখনও প্রস্তুতির মধ্যে রয়েছে। তাই আইন কার্যকরের মেয়াদ ৯ এপ্রিল ও ৯ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হল।’ অর্থাত্ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নোটিস অনুযায়ী, চলতি বছরের ৯ জুলাই পর্যন্ত সিএএ কার্যকর হচ্ছে না দেশে।
১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনী এনে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তৈরি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দেশভাগের সময় ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ সহ আরও কিছু অমুসলিম সম্প্রদায়, যাঁরা নিজের দেশে ধর্মীয় কারণে নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে পালিয়ে এসেছেন, তাঁরা যদি ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সালের আগে ভারতে প্রবেশ করে থাকেন, তবে তাঁরা এই আইনের আওতায় ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। ভারতে ছ’বছর বসবাসের পর নাগরিকত্ব পাবেন যা আগে ছিল ১১ বছর। তাদের কোনও কাগজপত্র না থাকলেও চলবে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সংসদে পাশ হয়েছিল সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল। ওই বছরেই ১২ ডিসেম্বর আইনে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
সিএএ সংসদে পাশ হওয়ার পরেই দেশজুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ। বিরোধীরা দাবি করেন, এই সংবিধান বিরোধী। ধর্মীয় ভিত্তিতে বিভেদ সৃষ্টি করবে। মুসলিমরা দেশের নাগরিকত্ব হারাবে। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পাল্টা দাবি করেন, কিছু রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক স্বার্থে সিএএ-র বিরোধিতা করছে। কোনও ভারতীয় তাঁর নাগরিকত্ব হারাবেন না।