Today Kolkata:- বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব পড়ছে উত্তরবঙ্গ সহ সিকিমে। বাড়ছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। উত্তরবঙ্গ থেকে গায়েব শীতের চেনা অনুভূতি। বইয়ের পাতা, সচেতনতার বার্তা ছেড়ে এবারে বিশ্ব উষ্ণায়ন সরাসরি প্রভাব ফেলেছে উত্তরের শীতে বলেই মত বিশিষ্ট আবহাওয়াবিদদের। জুবুথুবু শীতের সাক্ষী এবারের উত্তরবঙ্গবাসীরা হয়েছেন হাতে গোনা কয়েকটা দিন। রাজ্যে পশ্চিমী ঝঞ্জার মুক্ত থাকার কারনেই শীতের মরশুমে এই রকমফের বলেই জানাচ্ছে হাওয়ামহলের নিত্য আবহাওয়া রিপোর্ট।
কারন এবারে জানুয়ারি থেকেই পাততাড়ি গুঁটিয়ে চলে যাচ্ছে এমনই ইঙ্গিত ছিল আবহাওয়ায়। যদিও ফেব্রুয়ারির ১তারিখ ফের জোড় ঠান্ডা পরে। তবে তা স্থির হয়নি। দিনের বেলা রীতিমতো গলা শুকিয়ে ওঠা গরম আর সন্ধ্যা ঘনালে শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে। শুক্রবার দিনভর মেঘাচ্ছন্ন ছিল আকাশ। যার জেরে দিনে ও রাতে কিছুটা শৈত্য অনুভূত হয়। আগামী ১২ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও দিনে ও রাতে হালকা শীতের প্রকোপ বহাল থাকছে। তবে ১২ই ফেব্রুয়ারির পর থেকেই দিনে এক থেকে দুই ডিগ্রি করে বাড়বে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
তবে রাতে দিকে আরও বেশ কিছুদিন শীতের অনুভূতি বহাল থাকছে। সমানুপাতিক হারে এক থেকে দু ডিগ্রি হারে হ্রাস রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। উত্তরবঙ্গ সমতল সহ পাহাড়ি অংশে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। গ্যাংটক আবহাওয়াবিদ গোপীনাথ রাহা জানান- সিকিমের বেশ কিছু অংশে ও পাহাড়ি অংশে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। তার প্রভাব পড়বে উত্তরবঙ্গের সমতলে। ১২ই ফেব্রুয়ারির পর থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটবে। তিনি জানান মূলত আমাদের দেশে উত্তর-পশ্চিমে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ওপর অনেকাংশেই শীতের তীব্রতা নির্ভর করে।এবারে জানুয়ারির শেষ থেকে পশ্চিমি ঝঞ্জার না আসায় একেবারেই না থাকায় আবহাওয়ার বদল ঘটে। শীতের তীব্রতা সেঅর্থে লক্ষ্য করা যায়নি।
বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব পড়ছে উত্তরবঙ্গ সহ সিকিমে।
তবে ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে আকাশে কম বেশি মেঘ থাকায় শীতের প্রকোপ কিছুটা রয়েছে। তবে শীত শীত বলে এতো ভরা মাঘেই ফাগুনের শুষ্ক আমেজ। উত্তরবঙ্গের প্রায় সর্বত্র গুম হয়ে যাচ্ছে শীত। একটা গোমট অস্বস্তি বিরাজ করছে দিনের বেলাতে। জানুয়ারির শেষের থেকেই বিদায়ী শীতের অনুভূতি শেষ কবে অনুভূত হয়েছে তা মনে করে উঠতে পারছেন না প্রবীণ থেকে নবীন সকলেই। গ্যাংটক ইন্ডিয়ান মেট্রোলজিক্যাল সেন্টারের তরফে জানা যাচ্ছে ২০১৭ সালে এ ধরণের আবহাওয়া লক্ষ করা যায়।
তবে আরও বেশি উদ্বিগ্নতার কথা জানাচ্ছেন গবেষণা কেন্দ্রের আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। গ্যাংটক মেট্রোলজি সেন্টারের আবহাওয়াবিদ গোপীনাথ রাহার দাবি সর্বনিম্ন তারমাত্রা বৃদ্ধির জেরেই শীতের এই বিরাট বদল। জলবায়ুর বদল ঘটছে কিনা তা জানতে এবারে উত্তরবঙ্গ সহ সিকিমের শীতকালিন মরশুমে এই বদল রেকর্ড হিসেবে ধরে বিশ্লেষনাত্বক গবেষনা করে দেখা হবে। তবে ২০২১সাল থেকে ক্রমাগত শীতের মরশুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বাড়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে এই অংশে। বিশ্ব উষ্ণায়নের সরাসরি প্রভাব পড়তে শুরু করেছে উত্তর-পূর্ব ভারত ধরে উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমের এই বিস্তৃন অংশে।