Today Kolkata:- মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে পাহাড়বাসী পেতে চলেছে জমির অধিকার। চলতি মাসেই পাহাড় সফরে এসে জমির পাট্টা তুলে দেবে পাহাড়বাসীর হাতে। দার্জিলিং পাহাড়ে বহু চা বাগানে চা শ্রমিকরা বাগানের জমিতে বসবাস করছে। তারা এখনো জমির অধিকার পায়নি।
তাই কলকাতাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে বৈঠক করে শুক্রবার শিলিগুড়ি ফিরে আসেন অনিত থাপা। এদিন সকালে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমে জিটিএর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার অনিত থাপা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে। আমরা বিভিন্ন দাবী জানিয়েছি। তার মধ্যে দার্জিলিং চা শ্রমিকদের জমির অধিকারের দাবি জানিয়েছি। মুখমন্ত্রী চলতি মাসেই পাহাড়ে এসে পাট্টা বিতরণ করবে। এছাড়াও কলিংপঙ ডিআই ফান্ড মার্কেটের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
Read More- মোদীর থেকে রাহুল গান্ধী ভালো বক্তিতা দিয়েছেন,অকপটে শত্রুঘ্ন সিন্হা
অন্যদিকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা বার বার পাহাড়ের স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের নামে বিজেপির মদতে পাহাড়বাসীকে বিপথে চালনা করছে বিমলরা। কিন্তু রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান আসলে কি তা তারা নিজেরাই জানেনা। অনিতা থাপা জানান, পাহাড়ে সার্বিক উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। দার্জিলিংয়ের মানুষ এখনও ভূমির অধিকার, পাট্টা পায়নি। দার্জিলিংয়ের পাহাড়ের চা শ্রমিকেরা জমির অধিকার নেই। পাহাড়ে ফিরেই পাহাড় বাসী বিশেষ চা বলয়ের শ্রমিকদের জমির অধিকার প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর আগামী শিলিগুড়ি সফর কালেই পাহাড়বাসীর চা শ্রমিকদের পাট্টা তুলে দেওয়া হতে পারে। এদিকে গোর্খাল্যান্ড ইস্যু এবং পার্মারেন্ট সলিউশন নিয়ে এদিনও নিজ বক্তব্যে অনড় অনেক থাপা।তার সাফ মন্তব্য পাহাড়ের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে অর্থাৎ শিক্ষা স্বাস্থ্য ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া, কর্মসংস্থানই পাহাড়ের স্থায়ী সমাধান। রাজ্য সরকারের সঙ্গে থেকে এই পাহাড় উন্নয়নে কাজ করতে চায় জিটিএ। পাশাপাশি এদিন বিমল বিনয়ের গোর্খাল্যান্ড ইসুর উস্কানিতে আমল দিতে নারাজ অনিত। পাহাড়বাসী