রাত পোহালেই রাজ্যে চতুর্থ দফার ভোট শুরু হবে। তার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিককে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। অপসারিত করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক অশোক চক্রবর্তীকে। শুক্রবার রাতে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। তাতে স্পষ্টই জানানো হয়েছে, ‘মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন যে নির্দেশ পাঠিয়েছিল, সেই নির্দেশ অনুয়ায়ী অশোক চক্রবর্তীকে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দল থেকে অপসারিত করা হয়েছে।’
তবে কী কারণে এসপি পদমর্যাদার ওই আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়া হল, তা নিয়ে অবশ্য কোনও ব্যাখা দেয়নি নির্বাচন কমিশন। রেলমন্ত্রী থাকার সময় থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন অশোকবাবু। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরেও রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের (আরপিএফ) প্রাক্তন কমান্ড্যান্ট ও বিশ্বস্ত আধিকারিককে নিজের নিরাপত্তায় বহাল রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি থেকে এ রাজ্যে নিয়ে আসেন তাঁকে। এমনকী আরপিএফ থেকে অবসর নেওয়ার পরে অশোকবাবুকে এসপি পদমর্যাদা দিয়ে বিশেষভাবে নিয়োগ করা হয়। মূলত মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা রক্ষীদের মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলার কাজ করতেন অশোকবাবু। মুখ্যমন্ত্রীর ২৪ ঘণ্টার সঙ্গী ছিলেন তিনি।
গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে জনসংযোগে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ‘আঘাত’ পাওয়ার পরেই অবশ্য তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল। সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করার অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা অধিকর্তা বিবেক সহায়কে সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। কয়েকদিন বাদে রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা প্রাক্তন ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থের ডানাও ছেঁটে দেওয়া হয়। তাঁকে পদ থেকে না সরালেও ভোট পর্যন্ত ‘নিস্ক্রিয়’ করে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। আর এদিন অপসারিত করা হল মমতার নিরাপত্তা আধিকারিক অশোক চক্রবর্তীকে। সূত্রের খবর, নন্দীগ্রাম কাণ্ডের জেরেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।