যতদিন না সত্যিটা প্রকাশ্যে আসছে ততদিন আদানি ইস্যুতে প্রশ্ন করেই যাব, রাহুল । উল্লেখ্য সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আদানিদের যোগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ। তিনি অভিযোগ করেছেন মোদীর কারণেই আদানি গোষ্ঠীর সম্পত্তির পরিমান বিপুল হারে বেড়েছে গত কয়েক বছরে। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই আদানি গোষ্ঠীর দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে শেয়ারবাজারে দাম বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।
আদানিরা ইতিমধ্যেই এসবিআই সহ একাধিক ব্যাঙ্কের কাছে থেকে কয়েক কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে। তারপরেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এসবিআই সহ সব ব্যাঙ্ক গুলিকে ডেকে পুরো পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করেন। যদিও এসবিআইয়ের জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছেন, আদানিরা ঋণ নিয়েও তাঁদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। এদিকে আদানিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা।
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময়েই আদানিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যোগাযোগ রয়েছে। সেই যোগাযোগের পর থেকেই আদানিদের সম্পত্তি বাড়তে শুরু করে। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে একাধিক সরকারি বরাত পেয়েছে আদানি গোষ্ঠী। এমনকী যে কাজে তাদের কোনএ অভিজ্ঞতা নেই তারও বরাদ আদানিদের দেওয়া হয়েছে। গত কয়েক বছরে আদানিদের সম্পত্তির পরিমান কয়েক গুণ হারে বেড়েছে। এই নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সংসদ।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এক জোট হয়ে সংসদে এই নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে গুরুত্ব দেয়নি মোদী সরকার। সংসদে এই নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি মোদী থেকে অমিত শাহ কেউ। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সংসদে এই নিয়ে একাধিকবার সওয়াল করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন কন্যাকুমিকা থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত ভারত জোড়ো যাত্রায় তিনি কেবল একটি নামই শুনেছেন আদানি। কংগ্রেসের প্লেনারিতেও তাই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছেন যতদিন না আদানিদের নিয়ে স্পষ্ট কোনও কথা বলছেন মোদী ততদিন তিনি প্রশ্ন করে যাবেন।