More
    Homeখবরযুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফিরলেন বালি বাসিন্দা ডাক্তারি পড়ুয়া অন্বেষা দাস ।

    যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফিরলেন বালি বাসিন্দা ডাক্তারি পড়ুয়া অন্বেষা দাস ।

    Today Kolkata :- যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফিরলেন বালি বাসিন্দা ডাক্তারি পড়ুয়া অন্বেষা দাস ।আতঙ্কের সেই কাহিনী এখনো স্পষ্ট তার চোখে মুখে। চোখ বুজলে এখনো যুদ্ধের সেই ভয়াল চিত্র ভাসছে চোখে সামনে । ঘরের মেয়েকে ফিরে পেয়ে উৎকণ্ঠা কাটলো বালির দাস পরিবারের। তবু নিজের পরিবারে ফিরে এখনো কাটছে না আতঙ্কের সেই রাতগুলো। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ফিরে বালির অন্বেষা শোনালেন সেই ভয়ের কাহিনী। ঠিক কি ঘটেছিল দিলেন তার বিস্তারিত বিবরণ। অন্বেষা জানান, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ভয়ে ভয়ে দিন কাটতো। অন্ধকার নামলেই কালো আঁধারে গোটা শহরকে গ্রাস করতো। ঘরের ভিতরে সব আলো নিভিয়ে রাখতে হতো। এমনটাই ছিল নির্দেশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে। রোজ বিকেলের পরে সন্ধ্যেবার রাত্রি কাটতো যথেষ্ট উদ্বেগ আর ভয় নিয়ে। তখন ভয়টা আরো বাড়তো। এই বুঝি সাইরেন বেজে ওঠে। সাইরেন বাজলেই ওই অন্ধকারের মধ্যেই ছুটে ঢুকতে হবে বাঙ্কারে।

    এভাবেই কাটছিল সেখানে। এরপর যখন ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণা ও ইউক্রেনে ভারতীয় দূতাবাসের সক্রিয়তার কথা জেনে আশা জাগে মনে। অন্বেষা জানায় মাঝে আশাহত হয়ে উঠলেও মনের কোণে আশা জেগেছিল যে দেশে ফিরতে পারবে সে। তার পরিবারের কাছে আসতে পারবে। এরপর যখন ভারতীয়দের ইউক্রেন থেকে বের করে আনার প্রচেষ্টা শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার। তখন বুকে বল ফিরে পায় সে । হ্যাঁ আসতে কষ্ট হলেও অবশেষে এই ভয়ের পরিবেশ থেকে ফিরে আসতে পারবে পরিবারের কাছে। তবে খাওয়াদাওয়া নিয়ে সমস্যাতে পড়েছিলেন তারা। অন্বেষা জানান যুদ্ধের শুরু হওয়ার পরই বন্ধ হয়েছিল ইউক্রেন মেস। তখন ভারতীয় মেসই একমাত্র ভরসা ছিল। যদিও তারা একবেলার খাবার দিত। এছাড়া সুপার মার্কেটগুলোতে সেভাবে খাবার ছিল না বলে বন্ধ হয়ে গেছিল। যুদ্ধের পরিস্থিতি আরো ভয়াল হতে পারে ভেবে সকলেই আগে থেকে খাবার তুলে রাখতে শুরু করেছিল। তাই নিজেদের সংগ্রহে থাকা ড্রাই ফুড ও বিস্কুট শুধু সঙ্গী ছিল এমনটাই জানাচ্ছেন ইউক্রেন ফেরত অন্বেষা।

    যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফিরলেন বালি বাসিন্দা ডাক্তারি পড়ুয়া অন্বেষা দাস ।

    সকলের চোখে মুখে ছিল আতঙ্কের চাপ স্পষ্ট বলেই দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি রোমানিয়ার সীমান্ত অব্দি যাত্রা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। সীমান্তে দাঁড়িয়ে হাঁটা ও সীমান্ত পার করে রোমানিয়ার ভিতরে প্রবেশ করা এটা খুবই উৎকন্ঠার সময় ছিল। কারণ যেকোনো মুহূর্তে কিছু ঘটতে পারে। তবে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক ও সেখানকার এম্বাসি প্রভূত সাহায্য করেছে তাদের এমনটাই দাবি করেন অন্বেষা। তিনি আরো জানান কলকাতা বিমান বন্দরে নেমে জানতে পারেন তার অন্যান্য বন্ধুরাও সীমান্ত পার করতে সক্ষম হয়েছে। কারণ সে জানায় সীমান্ত এলাকায় তাপমাত্রা মাইনাসে চলে গেছিলো। ওই ঠাণ্ডাতে খোলা আকাশের নিচে দুই রাত্রি কাটাতে হয়েছে তাদেরকে। যা খুবই কষ্টের। তবে দিল্লি বিমান বন্দরে ফিরে মনে হলো বাড়ি ফিরে এসেছি। এরপর সেখান থেকে কলকাতা পৌঁছে মনে হলো একটা স্বপ্ন পূরণ হলো। বাবা মাকে দেখতে পাওয়া একটা আবেগঘন মুহূর্ত ছিল। তখন নিজেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত মনে হচ্ছিল।

    তার বাড়ি ফিরে আসায় অবশেষে কাটল উৎকণ্ঠা। আশঙ্কার দোলাচলে থাকা যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে নানা পথ ঘুরে অবশেষে বাড়ি ফেরা। মেয়ে ফিরে আসায় খুশি চিকিৎসক পিতা অনুপ দাস। তাঁর কথায়, ‘‘সংবাদমাধ্যমে যুদ্ধ হতে পারে এমন সম্ভাবনার কথা জেনে অবর্ণনীয় উদ্বেগের মধ্যে ছিলাম। আমরা সকলে ভীষণ উদ্বেগে ছিলাম। যা ভাষাতে প্রকাশ করা অসম্ভব। মাঝের ২৪ ঘন্টা কোনো যোগাযোগ হয় নি তখন ওকে আর দেখতে পাবো কিনা তাও অনিশ্চিয়তার মধ্যে ছিল। তবে ও ফিরে আসায় আমরা খুশি।’’ অন্বেষার মায়ের বক্তব্য, ‘‘মেয়েকে ফিরে পেয়ে খুব খুশি। কেন্দ্রীয় সরকারকে অশেষ ধন্যবাদ জানাই’’। উল্লেখ্য ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের নির্বিঘ্নে ফিরিয়ে আনতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সেখানে পাঠিয়ে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র। ইউক্রেনের গোটা পরিস্থিতির উপর বিশেষ নজর রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া খড়গপুর শাখায় নলপুর স্টেশনের কাছে রেল অবরোধ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

    MORE NEWS – দক্ষিণ-পূর্ব রেলের শাখায় ট্রেন অবরোধ। ভোগান্তি নিত্য যাত্রীদের।

    Today Kolkata :- দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া খড়গপুর শাখায় নলপুর স্টেশনের কাছে রেল অবরোধ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাদের দাবি সময় সূচি মেনেই ট্রেন চালাতে হবে। তাই যাত্রীরা ট্রেন লাইনে নেমে লোকাল ট্রেন দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ দেখান। রেলের কর্মীদের সঙ্গেও তাদের বচসা চলে। রেলের তরফ থেকে বারবার মাইকিং করে অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন করা হলেও তাতে কর্ণপাত করে নি অবরোধকারীরা। CONTINUE READING

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments