Today Kolkata:- রণক্ষেত্র পানিহাটি। খাদ্য আন্দোলনের শহীদ বেদী ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র সিপিএম-তৃনমুল সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল পানিহাটি পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের উষুমপুর বটতলা এলাকা। অভিযোগ, স্থানীয় কাউন্সিলর হিমাংশু দেবের নেতৃত্বে তৃনমূল কর্মীরা হামলা চালায় সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের ওপর। রাস্তার ওপর ফেলে সিপিএম কর্মীদের বেধরক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের কাউন্সিলর ও তার দলবলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় একজন মহিলা কর্মী সহ ছয় জন সিপিএম কর্মী জখম হয়েছেন।
খবর পেয়ে উতপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ঘোলা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। জখম সিপিএম কর্মীদের চিকিৎসার জন্য পানিহাটি রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুপক্ষের সংঘর্ষের জেরে এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এপ্রসঙ্গে সিপিএম নেতা শুভব্রত চক্রবর্তীর অভিযোগ,উষুমপুর বটতলা এলাকায় ৫৯ সালের খাদ্য আন্দোলনের শহীদ বেদী আছে। এদিন সকালে কোনরকম আলোচনা ছাড়াই জেসিবি মেশিন দিয়ে সেটিকে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সিপিএম নেতার দাবি,তারা উন্নয়নের বিরোধী নন।
কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে শহীদ বেদী সরিয়ে নেওয়া যেত। কিন্তুএদিন বিনা প্ররোচনায় শুধু মাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে শহীদ বেদীটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তার আরও অভিযোগ, স্থানীয় কাউন্সিলর হিমাংশু দেবের প্ররোচনায় ও উপস্থিতিতে এই ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যখন শহীদ বেদী নিয়ে কাউন্সিলরের সঙ্গে আলোচনা চলছিল, সেই সময় আচমকাই শাসকদলের কর্মী-সমর্থকেরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় শাসকদলের কাউন্সিলর হিমাংশু দেব। তার দাবি,এটা সম্পুর্ন মিথ্যাচার।
আমারা শহীদ বেদী ভাঙ্গিনি। গত একমাস ধরে এখানে রাস্তা সম্প্রসারনের কাজ চলছিল। ১৪ ফুটের রাস্তা ছিল। সেই রাস্তাটি ৩০ ফুট চওড়ার কাজ চলছিল। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি মেনে স্থানীয় দোকানদাররাই শহীদ বেদীটি সরিয়ে দিয়েছে। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি ঘটনার সময় বাড়িতেই ছিলাম। হিমাংশু বাবুর পাল্টা অভিযোগ, স্থানীয় এক প্রবীন সিপিএম নেতা রামশুম চৌধুরী আলোচনার জন্য তাকে ঘটনাস্থলে ডেকে আনেন। সেই সময় সিপিএম কর্মীরাই তৃনমূল কর্মীদের ওপর আক্রমন করে এবং মারধর করে। অথচ আমাদের ছেলেরা এবিষয়ে কিছুই জানতো না।