Today Kolkata:- বিশ্ববাংলার লোগো রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন, প্রশ্ন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির। প্রসঙ্গত বিশ্ববিদ্যালয় এবং জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে রাজ্যের শাসক দলের পার্টি অফিস খোলা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়। তার প্রেক্ষিতে এদিনের শুনানি।
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়া সাঁকো ক্যাম্পাসে তৃণমূলের পার্টি অফিস তৈরি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। গত নভেম্বরের যা ভাঙার নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। নির্দেশ কার্যকর করতে কলকাতা পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। হেরিটেজ স্বীকৃতি পাওয়া ভবনের অব্যবহৃত ঘর ভেঙে নির্মাণ কাজ চালানোর অভিযোগ ওঠে। হেরিটেজ ধ্বংস করার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন স্বদেশ মজুমদার নামে এক ব্যক্তি। হাইকোর্টের নির্দেশের পরে তদন্তে নামে কলকাতা পুরসভা।
এদিনের শুনানিতে উঠে আসে বিশ্ব বাংলার লোগো ব্যবহারের প্রসঙ্গ। কলকাতার হাইকোর্টের নির্দেশের পরে রবীন্দ্র ভারতীর জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে তৃণমূলের পার্টি অফিস বন্ধ হয়ে গেলেও সেখানে এখন বিশ্ব বাংলার লোগো রয়ে গিয়েছে। এদিন শুনানিতে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশ্ব বাংলার লোগো কেন? তিনি প্রশ্ন করেন, এই লোগো সরাতে রাজ্যের ভূমিকা কী? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক ঘর কেন রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি।
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এদিনের শুনানিতে রবীন্দ্র ভারতীর জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে তৃণমূলের পার্টি অফিস এবং বিশ্ব বাংলার লোগো নিয়ে কলকাতা পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, পুরসভা জানাবে, কোথায় কী পরিবর্তন হয়েছে। ২৭ মার্চ থেকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
এর আগে পুরসভার হেরিটেজ কমিটি রিপোর্টে বলেছে, রবীন্দ্র ভারতীর জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসের একটি অংশে রাজনৈতিক দলের সংগঠন দখল করে ভবনের চরিত্র বদল করেছে। এদিন ডিভিশন বেঞ্চের তরফে ফের একবার হেরিটেড কমিটিকে বিটি রোড এবং জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাস পরিদর্শন করে দেখতে বলা হয়েছে। সঙ্গে নিতে বলা হয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকেও। দুটি ক্যাম্পাসের ক্ষেত্রে আলাদাভাবে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এব্যাপারে ১০ই এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ।