গত নভেম্বর মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রী রশ্মিকার ডিপফেক ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। এই ভিডিওয় রশ্মিকার মুখের উপর অন্য একজন নারীর শরীর বসানো হয়েছিল। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর রশ্মিকা মন্দনা, তাঁর অনুরাগী এবং বিনোদন জগতের অনেকেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।
এই ভিডিওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং গত নভেম্বরে বিহার থেকে এক ১৯ বছর বয়সি তরুণকে গ্রেফতার করে। তদন্তকারীদের দাবি, এই তরুণই প্রথম এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন।
এবার দিল্লি পুলিশ চার সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, এই চার জনই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন। তবে, তারা ভিডিও তৈরি করেননি। ভিডিও তৈরির নেপথ্যের অপরাধীদের খোঁজে এখনও তদন্ত চলছে।
রশ্মিকা মন্দনা এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমার মুখ বসানো যে ডিপফেক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, তা নিয়ে কথা বলতে গিয়েও আমার খারাপ লাগছে। এই ঘটনা আমার কাছে যতটা যন্ত্রণার, ততটাই ভয়েরও। কোনও প্রযুক্তির যে এমন অপব্যবহার হতে পারে, তা ভেবেই দুশ্চিন্তা হচ্ছে। বিশেষ করে তাঁদের জন্য, যাঁরা সব সময় ক্যামেরার সামনে থাকেন। আজ আমার পাশে আমার পরিবার, বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষীরা আছেন। কিন্তু স্কুল-কলেজে পড়ুয়া হিসাবে থাকাকালীন এমন ঘটনা ঘটলে আমি পরিস্থিতি সামলাতে পারতাম না। আমাদের সকলের উচিত একজোট হয়ে এই বিষয় নিয়ে কথা বলা।”