শান্তিনিকেতনের (Santiniketan) ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা এবার আদৌ হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় এখনও কাটেনি। বোলপুর পুরসভার তরফে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সঙ্গে যৌথভাবে মেলা করতে চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছিল, বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) পক্ষ থেকে তাতে সাড়া মেলেনি।
শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা নিয়ে টানাপোড়েন, ঘোষিত বিকল্প মেলার সূচি
Read More-জোরাল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া, জারি সুনামি সতর্কতা
ফলে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। কিন্তু সেই টানাপোড়েনের আবহেই এবার সুখবর। পৌষমেলার (Pous Mela) বিকল্প মেলার আয়োজন করতে চলেছে বীরভূম জেলা প্রশাসন।
কবে হবে এই মেলা? পৌষমেলা শুরুর দিনেই, অর্থাত্ আগামী ২৩ ডিসেম্বর ডাকবাংলো মাঠে শুরু হতে চলেছে সেই মেলা। চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। একইভাবে ১ জানুয়ারি থেকে রাজ্যের ক্ষুদ্র, কুটির ও বস্ত্রবয়ন শিল্প দফতরের উদ্যোগেও বোলপুরে বিশ্ববাংলা ক্ষুদ্র বাজারে মেলা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নবান্ন থেকে এই দফতরের সচিব-আধিকারিকরা মেলার মাঠ দেখতে আসেন। ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ।
জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, ‘বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে ২৩ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেলার আয়োজন হতে চলেছে।’ এই মেলায় রবীন্দ্র-ঐতিহ্য মেনে কুটির এবং হস্তশিল্পকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, ‘রবীন্দ্র ঐতিহ্য মেনে যেভাবে পৌষমেলার সময় আরেকটি মেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেজন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।’
উল্লেখ্য, এই ঘোষণায় পৌষমেলার ভবিষ্যত্ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। গুঞ্জন শুরু হয়েছে, তবে কি আর পৌষমেলা হবে না? ধীরে ধীরে শান্তিনিকেতন থেকে উঠেই যাবে কবিগুরুর সাধের এই মেলা? সেই রাস্তা প্রশস্ত করতেই কি রাজ্য সরকার নিজের হাতে হস্তশিল্প মেলার দায়িত্ব নিল? এসব প্রশ্ন খুব একটা অবান্তর নয়। প্রথম থেকেই পৌষমেলার আয়োজক বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পৌষমেলা আয়োজনে নারাজ। ঘনিষ্ঠ মহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বিদ্যুত্ উপাচার্য জানিয়েছেন, কোটি টাকা খরচ করে পৌষমেলা আয়োজন তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। ফলে ধীরে ধীরে হয়ত বন্ধের পথেই ঐতিহ্যবাহী মেলা।