More
    Homeরাজনৈতিক‘‌হয় ৩৫৬ ধারা, নয়তো পাল্টা মার', সরব ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং

    ‘‌হয় ৩৫৬ ধারা, নয়তো পাল্টা মার’, সরব ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং

    ফের রাজ্যে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের দাবিতে সরব হলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং।সেই সঙ্গে মারের বদলে পাল্টা মারের নিদান দিতেও শোনা গেল তাঁকে। তাঁর মতে, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি না হলে বাংলার মানুষ বাঁচতে পারবে না। বিজেপির মধ্যে থেকে বিজেপিই এক নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কথা না বোলে করোনা ও ইয়াসে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলছেন, তখন তাঁর দলেরই এক নেতার মুখে শোনা গেল ভিন্ন সুর।

    মঙ্গলবার হেস্টিংসের কার্যালয়ে বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক ছিল।সেই বৈঠক শেষে ব্যারাকপুরের সাংসদ জানান,‘‌হয় ৩৫৬ ধারা, নয়তো পাল্টা মার। এছাড়া কোনও উপায় নেই।আমাকে আত্মরক্ষা করার জন্য যা করার দরকার আমি করব। আমাকে যদি কেউ খুন করতে আসে, আমার মাকে যদি কেউ ধর্ষণ করতে আসে, আমি যদি তারপরেও বেঁচে থাকি, তবে আমি কাপুরুষ। আমাকে পাল্টা মার দিতে হবে। ভারতের সংবিধান সেই অধিকার আমাকে দিয়েছে।’‌ তাঁর মতে, যদি না অবিলম্বে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি না হয়, তাহলে বাংলার মানুষ বাঁচতে পারবে না। সংবিধান যে অধিকার দিয়েছে, তা রক্ষা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকেও নামতে হবে। এছাড়া কোনও উপায় নেই। ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করুন, না হলে বাংলার মানুষ বাঁচবে না।

    রাজ্যে ভোট পর্ব মিটে গেলেও ভাটপাড়ায় বোমাবাজির ঘটনা প্রতিদিনই লেগেই রয়েছে।সম্প্রতি বোমাবাজির ঘটনায় একজনের মৃত্যুও হয়েছে। এমনও ঘটনা ঘটেছে যে, দুপক্ষের মধ্যে রাতভর বোমাবাজি এমন একটা জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে, তাতে আতঙ্কিত হয়ে একজন মহিলার মৃত্যুও হয়েছে। ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়ির সামনে বোমাবাজির ঘটনাও ঘটেছে।কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্বেও কেন এভাবে বোমাবাজির ঘটনা ঘটল, সেই প্রশ্নও তুলেছিলেন তিনি। তবে সম্প্রতি ভাটপাড়ায় সন্ত্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়েছে ব্যারাকপুরের সাংসদ।

    ভাটপাড়ারই এক বাসিন্দা সরাসরি তাঁকে প্রশ্ন করে বসেন, কেন এলাকায় এভাবে বোমাবাজির ঘটনা ঘটছে। একই সঙ্গে প্রকাশ্যেই ওই ব্যক্তি অভিযোগ করে বসেন, এই বোমাবাজির ঘটনা আসলে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বেরই ফল। এই এলাকায় বাঙালি ও অবাঙালির মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। এই কথা শুনে রীতিমতো মেজাজ হারাতে দেখা গিয়েছিল  বিজেপির ওই সাংসদকে।উল্টে অভিযোগকারী ওই ব্যক্তিকে তৃণমূল কর্মী বলে ওনার যাবতীয় অভিযোগ দেন অর্জুনবাবু।
    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments