বর্ধমান শহরের তেঁতুল তলা বাজার এলাকা সহ শহরের বিভিন্ন জায়গার সমস্ত বাজির দোকানে অভিযান চালায় পুলিশ। যদিও বিভিন্ন দোকানের আনাচে কানাচে শব্দবাজির তল্লাশি করেও কোনো শব্দবাজি উদ্ধার করতে পারেনি সদর থানার পুলিশ কর্মীরা। তেঁতুল তলা বাজার এলাকার বাজি বিক্রেতাদের দাবি, তাঁরা কোনরকম শব্দ বাজি বিক্রি করেন না।
দীপাবলির আগেই বর্ধমানে উদ্ধার ৪০ কেজি শব্দবাজি, গ্রেফতার ১
Read More-T20 WORLD CUP 2021: আজ মরুশহরে ভারত পাকিস্তান মহারণ
তাত্পর্যপূর্ণভাবে, বাজির দোকানে শব্দবাজির সন্ধান না পাওয়া গেলেও বর্ধমানের ভাতছালা এলাকার একটি চায়ের দোকান থেকে ৪০ কেজি শব্দবাজি উদ্ধার করল বর্ধমান থানার পুলিশ।চায়ের দোকানের মালিক জয়দেব মাঝিকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে বায়ু দূষণ রুখতে গতবছর
যে কোনো রকম বাজি বিক্রি ও পোড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর থেকেই জেলাজুড়ে পুলিশি অভিযান শুরু হয়।
বর্তমান সময়েও চলছে করোনার দাপট। এখনও পর্যন্ত শুধু শব্দবাজির উপর নজরদারি শুরু করেছে সদর থানার পুলিশ। তবে, তেঁতুল তলা বাজার এলাকার এক বাজি বিক্রেতা, শেখ কবিরুদ্দিন বলেন, তাঁর দোকানে পুলিশ অভিযান করেও ফুলঝুরি, রং মশালা, চর্কি ছাড়া অন্য কোনো বাজি পায়নি। তিনি শব্দ বাজি বিক্রি করেন না বলেই দাবি করেছেন।
Read More-আজ, রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেবে কলকাতা মেট্রোর নন–এসি রেক
প্রসঙ্গত, বর্ধমানের তেঁতুলতলা বাজার এলাকায় দীপাবলির সময় প্রচুর পরিমাণে আতসবাজি বিক্রি হয়। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রেতারা এখানে বাজি কিনতে আসেন। এ বছরেও বিক্রেতাদের অনেকেই লক্ষ লক্ষ টাকার বাজি অর্ডার দিয়েছেন। পুলিশি অভিযানের জেরে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। জেলার অনেক এলাকাতেই লুকিয়ে চুরিয়ে বাজি বিক্রি চলছে বলে অভিযোগ উঠছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযানের খবর কোনোভাবে আঁচ করতে পেরে অনেক বাজি বিক্রেতাই হয়তো আগে থেকে শব্দবাজি লুকিয়ে ফেলেছে। সূত্রের খবর, আগামী সময়েও ফের বাজির দোকানে হানা দিতে পারে পুলিশ।