সাঁকরাইলে চিপসের কারখানায় বিধ্বংসী আগুন। দাউ দাউ করে জ্বলছে কারখানা। দমকলের সাতটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। ১ ঘণ্টা পরেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি বলে খবর। এদিকে আগু আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। শর্ট সার্কিট থেকেই অগ্নিকাণ্ড বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে।
সাঁকরাইলে চিপস কারখানায় বিধ্বংসী আগুন
Read More-রাজ্যে পরিবেশ-বান্ধব বাজিতে ছাড়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সায় কলকাতা হাই কোর্টের
বুধবার দুপুর নাগাদ আগুন লাগে। গলগল করে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখা গিয়েছিল। এমনই জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দমকল খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ৫টি ইঞ্জিন নিয়ে আসে। কিন্তু এতটাই ছড়িে পড়েছিল আগুন যে সেটা নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমসিম খাচ্ছিল ৫টি ইঞ্জিন। শেষে দমকলের আরও ২টি ইঞ্জিন সেখানে পাঠানো হয়। সাতটি ইঞ্জিন ১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। কিন্তি এখনও সেটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারেনি।
Read More-দীপাবলিতে দেশবাসীর জন্য সুখবর! সরষের তেল-সহ সব রকমের ভোজ্য তেলের দামে জোরদার পতন!
আগুন লাগার সময় কারখানার ভেতরে কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। তাঁদের সকলকেই নিরাপদে কারখানা থেকে বের করে আনা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। চিপস কারখানা হওয়ায় প্রচুর দাহ্য পদার্থ সেখানে মজুত রয়েছে। কাজেই সেখানে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে দমকল। তার উপরে বাতাসের গতি থাকায় সেটা আরও ছড়াতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও ইঞ্জিন সেখানে পাঠানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
ওই কারখানার গা ঘেসে তৈরি একটি কমপ্লেক্সের একপাশের দেওয়াল পুরোপুরি ধসে পড়েছে। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে কিছু অংশ। তবে কারখানার সংগলগ্ন অন্য েয কারখানাগুলি রয়েছে েসখানে যাতে আগুন ছড়াতে না পারে তার চেষ্টা চালাচ্ছে দমকল কর্মীরা। জাতীয় সড়কের পাশে কারখানা হওয়ায় যান চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সেই এলাকায় যান নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।