ত্রিপুরা জেলা আদলত থেকে জামিন পেলেন যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী ঘোষ Sayani Ghosh Gets Bail)৷ খুনের চেষ্টার অভিযোগ সহ বেশ কয়েকটি ধারায় সায়নীকে রবিবার গ্রেফতার করেছিল ত্রিপুরা পুলিশ (Tripura Violence)৷ সায়নী জামিন পাওয়ায় নিজেদের নৈতিক জয়ই দেখছে তৃণমূল শিবির৷ তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেবের দাবি, সায়নীর বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগ যে সাজানো ছিল, তা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে৷
জামিন পাওয়ার পর সায়নী বলেন, ‘যাঁরা আমার পাশে ছিলেন তাঁদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ৷ গতকাল দিদির সঙ্গেও কথা হয়েছে৷ আমার বিরুদ্ধে যে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছিল তা প্রমাণিত৷ রাজনৈতিক লড়়াইটা রাজনৈতিক ভাবে হলেই বোধ হয় ভাল হয়৷ মানুষ সবই দেখছেন, ত্রিপুরার মানুষ সময়মতো এর বিচার করবেন৷ এর থেকেই প্রমাণিত ত্রিপুরায় মহিলারা নিরাপদ নয়৷
‘ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের একটি সভার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সায়নী (Sayani Ghosh) খেলা হবে স্লোগান দেন বলে অভিযোগ ত্রিপুরা পুুলিশের৷ পাশাপাশি, গাড়ি দিয়ে ধাক্কা মেরে সায়নী কয়েকজনকে প্রাণে মারার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগে দাবি করে ত্রিপুুরা (Tripura Politics) পুলিশ৷ সায়নীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ছাড়াও উষ্কানিমূলক মন্তব্য, অশালীন মন্তব্য, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মতো একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ৷ এ দিন আদালতে পেশ করে সায়নীকে দু’ দিনের জন্য হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানায় ত্রিপুরা পুলিশ৷
সায়নী ঘোষের আইনজীবীরা অবশ্য পাল্টা দাবি করেন, ঘটনার সময় সায়নী গাড়ি চালাচ্ছিলেন না৷ ফলে তাঁর বিরুদ্ধে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা মারার চেষ্টার যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন৷
সায়নী জামিন পাওয়ার পরই তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, ‘ত্রিপুরা পুলিশ সায়নীর বিরুদ্ধে এই কেসটা বানিয়ে করেছে৷ সেটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে৷ এটা গট আপ কেস, পুলিশের উদ্দেশ্য সামনে চলে এসেছে৷ সায়নী গাড়ি নিয়ে কাউকে ধাক্কা মেরে থাকলে তাঁরা কোথায়?’
অন্যদিকে ত্রিপুরা বিজেপি-র মুখপাত্র নব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, ‘জামিন পাওয়া মানেই তো কেউ অভিযোগ মুক্ত হয়ে গেলেন না৷ আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে, তা নিশ্চয়ই সঠিক৷ কিন্তু পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাবে৷’