ট্রেন চলাচল এখন স্বাভাবিক হয়েছে।অতীতে করোনা পরিস্থিতির জন্য দীর্ঘদিন দূরপাল্লার ট্রেনের স্বাভাবিক যাত্রা বন্ধ ছিল। চলেছিল কিছু ‘স্পেশাল’ ট্রেন। সেই ট্রেনের টিকিটের ভাড়া থেকে বাতিলের নিয়মও ছিল আলাদা। তখন নিয়ম অনুযায়ী, সর্বোচ্চ সাত দিন আগে টিকিট কাটা যেত, আর ট্রেন ছাড়ার কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা আগে টিকিট বাতিল করলে ৫০ শতাংশ ভাড়া ফেরত পাওয়া যেত।
দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক, ফিরল টিকিট বাতিলের পুরনো নিয়ম
Read More-রাওয়াতের স্থানে CoSC-র চেয়ারম্যান হলেন জেনারেল নারাভানে, সিডিএসের দায়িত্বে কে?
এখন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতেই রেল আবার পুরনো নিয়মে ফিরেছে। করোনা অতিমারির আগের নিয়মে ট্রেন ছাড়ার চার ঘণ্টা আগেও কনফার্ম টিকিট বাতিলের সুযোগ মিলছে। কনফার্ম না হওয়া টিকিট বাতিল করা যাচ্ছে ট্রেন ছাড়ার আধ ঘণ্টা আগেও।
যদি স্লিপার ক্লাসের টিকিট হয় এবং সেটি যদি কনফার্ম না হয় বা আরএসি হয়ে থাকে, তবে ট্রেন ছাড়ার নির্দিষ্ট সময়ের ৩০ মিনিট আগেও বাতিল করা যায়। এক্ষেত্রে রেল যাত্রী পিছু ৬০ টাকা করে কেটে নেয়। অসংরক্ষিত টিকিটের ক্ষেত্রে কাটা হয় যাত্রী পিছু ৩০ টাকা। তবে সময় পার হয়ে গেলে কোনও টাকা ফেরত পাওয়া যাবে না।
তবে টিকিট বাতিল করে সবচেয়ে বেশি ফেরত পেতে হলে, তা করতে হবে ট্রেন ছাড়ার নির্দিষ্ট সময়ের থেকে ৪৮ ঘণ্টা আগে। এক্ষেত্রে রেলের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি শ্রেণি অনুযায়ী আলাদা আলাদা টাকা কাটা হয়। বাতানুকূল প্রথম শ্রেণি এবং এগজিকিউটিভ শ্রেণির ক্ষেত্রে কাটার নিয়ম ২৪০ টাকা। বাতানুকূল টু-টিয়ার, বাতানুকূল থ্রি-টিয়ার, বাতানুকূল চেয়ার কার এবং বাতানুকূল থ্রি-টিয়ার ইকোনমির টিকিটে কাটা হয় যাত্রী পিছু ২০০ টাকা। স্লিপার ক্লাসে ১২০ টাকা এবং দ্বিতীয় শ্রেণির টিকিটে ৬০ টাকা কাটাই নিয়ম। তবে ট্রেন ছাড়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে কনফার্ম টিকিট বাতিল করলে আরও কম টাকা পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে সব শ্রেণিতেই রেল কেটে নেয় ভাড়ার ২৫ শতাংশ। জিএসটি সমেত। এর পরে রয়েছে ট্রেন ছাড়ার নির্দিষ্ট সময়ের আগের ১২ ঘণ্টা থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে। এক্ষেত্রে টিকিট বাতিলে যাত্রীরা ফেরত পান ভাড়ার ৫০ শতাংশ। অর্থাত্ সেই পুরনো নিয়মেই ফিরে আসা।