মঙ্গলবারই শাহি তলবে দিল্লি গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, আর আজ বুধবার গেলেন রাজ্যের আরও ৩ বিজেপি সাংসদ। অর্জুন সিং, সৌমিত্র খাঁ ও নিশীথ প্রামাণিক। ঘটনাচক্রে শুভেন্দু যেমন একসময় তৃণমূলে ছিলেন, পরে এসেছেন বিজেপিতে। ঠিক তেমনি এই ৩ সাংসদও একসময় ছিলেন তৃণমূলে, পরে এসেছেন বিজেপিতে। সেই হিসাবে এরা সকলেই দলের নবীন সদস্য। তার থেকেও মজার কথা এদের কেন ডেকে পাঠানো হচ্ছে তা জানে না রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। এমনকি এই ৩ সাংসদকে যে দিল্লিতে এদিন ডেকে পাঠানো হয়েছে সেটা দলের রাজ্য নেতৃত্ব জানতেনই না। এদিন সকালে সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে তাঁরা তা জানতে পারেন। আর এখানেই তৈরি হচ্ছে রহস্য। দিল্লির শাহি দরবারে কী তাহলে দিলীপ অপসারণের ব্লু ব্রিন্ট তৈরি হচ্ছে যা রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে বুঝতেই দেওয়া হচ্ছে না! নাকি আরও বড় কোনও পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্রের শাসক দল, যা নেওয়ার আগে দলের সাংসদদের, নেতাদের ডেকে আলোচনা করা হচ্ছে! এই প্রশ্নই কিন্তু এখন উঠছে রাজ্য বিজেপির অন্দরে।
বুধবার সকালে বিজেপির তিন সাংসদ রওয়ানা দেন দিল্লির পথে। কেন তাঁরা দিল্লি গেলেন, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন বিজেপির অন্দরে উঠলেও উত্তর কারোর কাছেই নেই। এই তিন সাংসদ যে এদিন দিল্লি যাচ্ছেন, তা জানতেনই না দলের রাজ্য নেতারা। রাজ্যের নেতাদের মধ্যে কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, দলকে জানিয়ে দিল্লি যেতে হবে, এমন কথা তো কোথাও বলা নেই। হতে পারে তাঁরা ব্যক্তিগত কোনও কাজে দিল্লি গিয়েছেন। প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে দিল্লি গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার তিনি বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডার সঙ্গে। এদিন তিনি বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। শুভেন্দুর দিল্লি সফরের কথা যে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও জানতেন না, তা প্রকাশ্যেই বলেছেন দিলীপ। এর পর বুধ সকালে তিন সাংসদের দিল্লি যাত্রা নিয়ে বিজেপির একাধিক রাজ্যস্তরের নেতা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তাঁদের কিছুই জানা নেই। কাকতালীয় ভাবে শুভেন্দু দিল্লিতে থাকাকালীনই সেখানে গিয়েছেন রাজ্য বিজেপির ‘বিক্ষুব্ধ নেতা’ হিসাবে পরিচিত তথাগত রায়। মঙ্গলবার তিনিও নড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। একই সময়ে শুভেন্দু, তথাগত, অর্জুন, নিশীথ ও সৌমিত্রর দিল্লিতে থাকা কি একেবারেই সমাপতন না এর পিছনে কোনও নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে বিজেপিতে।