Today Kolkata:- Bijaya Sammeloni দুর্গাপুজো শেষ হতেই শুরু হয় বিজয়া। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলিও মেতেছে বিজয়া সন্মিলনীর অনুষ্ঠানে। ১১ অক্টোবর থেকে গোটা রাজ্যে শুরু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনী। বৃহস্পতিবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, এদিনই বিধানসভার নৌশার আলি কক্ষে পরিষদীয় দলের বিজয়া সম্মিলনী করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দুই বিরোধী নেতা ও নেত্রীর বিজয়া সম্মিলনীতে একে অপরকে রাজনৈতিক আক্রমণ করতে পারেন তা আগেই আচ করেছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তার আগেই তৃণমূল সুপ্রিমোর বিজয়া সম্মিলনী নিয়ে কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন রাজ্যে শাসক দলের তরফে দক্ষিণ কলকাতার ‘উত্তীর্ণতে’ বিজয়া সন্মিলনীর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কিন্ত এই সম্মিলনীকে ‘কর্পোরেট সম্মিলনী’ বলে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনিতে সুযোগ পেলেই যেকোনো বিষয়কে ইস্যু করে শুভেন্দু অধিকারী তীব্র আক্রমণ শানাল তাঁর পুরোনো দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার বিজয়া সম্মিলনী নিয়ে মমতাকে একহাত নিলেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, ‘‘এই ধরনের কর্পোরেট সম্মিলনীর কোনও মূল্য নেই। এতে সাধারণ মানুষ থাকে না। থাকে তোলামূল পার্টির সদস্য, আর পুলিশ।’’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনী চলবে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত। সূত্রের খবর, গোটা রাজ্যে ব্লক স্তরে পাঁচশোর বেশি সভা করবে তৃণমূল। তাতে তৃণমূলের আমলে উন্নয়নের খতিয়ান যেমন তুলে ধরা হবে তেমনি রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার কথাও তুলে ধরা হবে বলে জানা গিয়েছে। আলিপুরের উত্তীর্ণ সভাগৃহে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন দলের সুপ্রিমো তথা ভবানীপুর কেন্দ্রের বিধায়ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Bijaya Sammeloni মমতার বিজয়া সম্মিলনীকে ‘কর্পোরেট সম্মিলনী’: শুভেন্দু।
Taliganj টালিগঞ্জে প্রযোজনা সংস্থার গোডাউনে অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন।
এর পাশাপাশি এই বিধানসভা কেন্দ্রের সব জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এদিকে সরকারি উদ্যোগে নিউটাউনের ইকোপার্কে বুধবারও দুর্গাপুজোর পর বিজয়া সম্মিলনী আয়োজন করা হয়েছিল৷ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তি৷ রাজ্য শিল্প দফতরের উদ্যোগে এই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজনকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘মমতার আমলে বাংলায় নতুন করে শিল্প হয়নি। রাজ্যের ভাঁড়ার শূন্য অথচ লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে উৎসব করতে ব্যস্ত সরকার। শিল্প ক্ষেত্র এবং কর্ম ক্ষেত্রে রাজ্যের বেহাল অবস্থা।এ রাজ্যে শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের কোনও সুযোগ নেই।’