কোভিড নিয়ন্ত্রণে নিজের সংসদীয় এলাকা ডায়মন্ড হারবারে শনিবার প্রশাসনিক বৈঠক করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক জানান, তিনি তাঁর এলাকায় বেশ কিছু গাইডলাইন নির্দিষ্ট করছেন। তার মহদ্যে অন্যতম—আগামী দু’মাস সমস্ত রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ ও ধর্মীয় জমায়েত বন্ধ।
Breaking: কোভিড নিয়ন্ত্রণে আগামী দু’মাস ভোট-রাজনীতি-ধর্ম সব বন্ধ হোক: অভিষেক
Read More-RSS সদর দপ্তরে হামলার ছক জইশের! জারি হাই অ্যালার্ট
সাংবাদিকরা অভিষেককে প্রশ্ন করেন, ভোটের ব্যাপারে তাঁর অভিমত কী?
জবাবে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, ভোট হচ্ছে হাইকোর্টের নির্দেশে। রাজ্য সরকার, নির্বাচন কমিশন সেটা দেখছে। তিনি বিচারাধীন ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে পারেন না। এরপরেই অভিষেক বলেন, আপনারা যদি আমায় ব্যক্তিগত মত জিজ্ঞেস করেন তাহলে আমি বলব এখন রাজনীতি, ধর্ম সবকিছুই বন্ধ করা উচিত। তাঁকে ফের প্রশ্ন করা হয় ভোটও? ফের তিনি বলেন, যে যে রাজ্যে রাজ্যে ভোট হচ্ছে সেখানে যদি পজিটিভিটি রেট ঊর্ধ্বমুখী হয় তাহলে তাই করা উচিত। মানুষের জীবন আগে। তারপর সব। কোনও একটি রাজনৈতিক দলকে খুশি করার জন্য নির্বাচন করা ঠিক নয়। এই প্রশ্নেই অভিষেক উল্লেখ করেন, বাংলায় কোভিড সংক্রমণ কমে গিয়েছিল। কিন্তু গতবছর বিধানসভা ভোটের পর তা আবার মাথাচাড়া দেয়। আস্তে আস্তে সেটাও নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। আবার তা ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, ‘বড় দিন, দুর্গাপুজো, আর যা যা উত্সব আছে সব পরে হবে। আগে মানুষের জীবন। মানুষ যদি না বাঁচেন তাহলে উত্সবের আর কী থাকবে!’
অনেকের মতে, বড় দিনে পার্ক স্ট্রিটে যে শিউরে ওঠার মতো ভিড় হয়েছিল, অভিষেক হয়তো সেটাকেই স্মরণ করিয়ে দিতে চাইলেন এদিন। গঙ্গাসাগর প্রশ্নেও ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন , হাইকোর্ট যে বিধি বেঁধে দিয়েছে আমাদের সকলের উচিত তা মেনে চলা। সাংবাদিকরা অভিষেককে এও জিজ্ঞেস করেন, আপনি কি তৃণমূলের বাকি সাংসদদের এলাকাতেও ডায়মন্ড হারবারের বিধি অনুসরণ করার নির্দেশ দেবেন? জবাবে তিনি বলেন, আমি নির্দেশ দেওয়ার কেউ নই। আমি ডায়মন্ড হারবারে করলাম। কারও যদি মনে হয় তিনি তাঁর এলাকায় প্রয়োগ করতে পারেন। তবে তিনি এও বলেন, বিধি তখনই যথাযথ ভাবে কার্যকর হবে যখন সাধারণ মানুষ স্বতস্ফূর্ত ভাবে সচেতন হয়ে তা পালন করবেন। নইলে এই সংক্রমণকে ঠেকানো মুশকিল।