মহামারী আইনে এদিন ভোররাতে গ্রেফতার হন দেবাংশু, সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত সহ ১১ জন তৃণমূল যুব নেতা নেত্রী। গতকাল থেকেই ত্রিপুরার বুকে তৃণমূল নেতাদের ঘিরে একের পর এক অশান্তির ছবি উঠে আসে। দিনের শেষে জানা গিয়েছে মহামারী আইনের আওতায় সেখানে এই নেতারা গ্রেফতার হন। এরপরই কার্যত ধরনায় বসেন তৃণমূলের নেতানেত্রীরা।
ত্রিপুরায় ভোররাতে গ্রেফতার দেবাংশু, সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত সহ ১১ জন তৃণমূল যুব নেতা নেত্রী
Read More- ভারতের প্রথম মহিলা বিমান চালক সরলা ঠুকরালের ১০৭ তম জন্মদিনে বিশেষ শ্রদ্ধা গুগল ডুডলে
তৃণমূল নেতাদের এই গ্রেফতারির পর রবিবার সকালেই আগরতলার পথে রওনা দিয়েছে দলের রাজ্য নেতৃত্ব। ত্রিপুরা যাচ্ছেন কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, দোলা সেন প্রমুখ। সূত্রের খবর, শনিবার রাতভর থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করে তৃণমূল। দেবাংশুদের গাড়িতে হামলার অভিযোগে নিরাপত্তার দাবি জানান ঘাসফুলের নেতা নেত্রীরা। খোয়াই থানার সামনে সারারাত চলে তাঁদের এই অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি। এরপর সকালেই গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। রবিবারই ধৃতদের আদালতে পেশ করা হবে বলে খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল ত্রিপুরার আমবাসার ডুলাবাড়িতে দেবাংশুদের গাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছিল। ফেসবুক লাইভ করে দেবাংশু বলেন, তাঁর পিঠে কাঁচ গেঁথে রয়েছে। ওই লাইভেই দেখা যায়, রাস্তায় বসে পড়েছেন সুদীপ রাহা। তাঁরা মাথায় জল দিচ্ছেন টিএমসিপির প্রাক্তন রাজ্য সভানেত্রী জয়া দত্ত। সপ্তাহ খানেক আগেই এই তিন তরুণ নেতানেত্রী ট্রেনে ত্রিপুরা গিয়েছিলেন। তৃণমূলের অভিযোগ, পাহাড়ের উপর থেকে তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে আধলা ইট, পাথর ছোড়ে বিজেপির লোকজন। ভেঙে যায় গাড়ির কাচ। দেবাংশুকে দেখা যায়, ফেসবুক লাইভেই তিনি ত্রিপুরা পুলিশ ও ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের জওয়ানদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠছেন। এরপর গতকাল রাতে খোয়াই থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। তার জেরেই সকালে গ্রেফতার। আজ ত্রিপুরা যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।