Today Kolkata:- পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমার চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালের (Chandrakona Gramin Hospital) ঘটনা। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে তিনবছর পর চন্দ্রকোনা গ্রামীন হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের দরজা খুললো এবং এদিনই এক প্রসূতি মহিলার সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিলো ওই হাসপাতালেই।পুনরায় হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার চালু হওয়ায় এবং সফল ভাবে প্রসূতির সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবে খুশি খুশি দুরদুরান্ত থেকে আসা রোগীর পরিজনেরা, ও হাসপাতালে চিকিৎসক থেকে নার্সরা। গড়বেতা ফতেগঞ্জ গ্রামের প্রসূতি রঙ্কিতা পান সোমবার প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হয় চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে। হাসপাতালে সিজার দীর্ঘ প্রায় তিন বছর ধরেই বন্ধ সেটা তার পরিবারের লোকজন যানতেন, ভেবেছিলেন এই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর হয়তো অন্য কোন হাসপাতালে তাদের রোগীকে রেফার হতে হবে।
সাড়ে তিন বছর সিজার পরিষেবা বন্ধ থাকায় হাসপাতালে আসা প্রসূতি মহিলাদের চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে এতোটা দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে স্থানান্তরিত হতে হত।চিকিৎসকের ঘাটতি মিটিয়ে দীর্ঘ বছর পর হাসপাতালে পুনরায় সিজার পরিষেবা চালু হওয়ায় চোখে মুখে স্বস্তির ছাপ রোগীর পরিজন থেকে চিকিৎসকদের। জানাযায়, প্রসূতি চিকিৎসক ও অ্যানাস্থিসিস্ট স্পেশালিষ্টের অভাবে বন্ধ ছিল চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে সিজার পরিষেবা, এমনকি পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় অপারেশন থিয়েটারে তালা পড়েছিল। চলতি বছরের একজন প্রসূতি চিকিৎসক জয়েন করেন এবং চলতি মাসেই একজন অ্যানাস্থিসিস্ট স্পেশালিষ্ট জয়েন করেন চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে। দীর্ঘ বছর অপারেশন থিয়েটার বন্ধ থাকায় পরিকাঠামো গত কিছু সমস্যা ছিল তা মিটিয়ে সোমবার পুনরায় চালু হল অপারেশন থিয়েটার এরই সাথে ওইদিনই সিজার পরিষেবাও সফল ভাবেই চালু হল এক প্রসূতি মহিলার সিজারের মাধ্যমে।
Chandrakona Gramin Hospital সিজার পরিষেবা চালু হল চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে।
IPL আই ই পি এলে চলছে রমরমিয়ে জুয়া, গুপ্ত ভাবে চলছে বেটিং।
দীর্ঘবছর বন্ধ থাকার পর পুনরায় সিজার পরিষেবা সফল ভাবে শুরু হওয়ায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্বস্তির ছাপ ধরা পড়লো। সিজারের মাধ্যমে প্রথম প্রসূতি মহিলার সফল ভাবে সন্তান প্রসব হওয়ায় হাসপাতালের তরফে মিষ্টি মুখ করানো হয় ওই প্রসূতির পরিজনদের, মিষ্টি মুখ করান হাসপাতালের চিকিৎসক নার্স একে অপরকে। হাসপাতালের বিএমওএইচ ডঃ স্বপ্ননীল মিস্ত্রি জানান, মুলত চিকিৎসকের অভাবে সাড়ে তিন বছর বন্ধ ছিল সিজার পরিষেবা,তারপরে একজন গাইনোকোলজিস্ট পরে একজন অ্যানাস্থিসিস্ট দেওয়া হয়।অপারেশন থিয়েটার এখনও পুরোপুরি রেডি করা যায়নি এখনও কিছু পরিকাঠামো গত সমস্যা রয়েছে তবে আমরা যতোটা পেরেছি তা মিটিয়ে সাড়ে তিন বছর পর প্রথম সিজার হল সফল ভাবে।
হাসপাতালে বর্তমানে একজন করে গাইনোকলজিস্ট, অ্যানাস্থিসিস্ট রয়েছে, সপ্তাহে সাত দিন সিজার পরিষেবা সচল রাখতে এই পদে আরও চিকিৎসক প্রয়োজন, সিএমওএইচ’কে জানানো হয়েছে আশাকরি তা পেয়ে যাবো। “দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর হাসপাতালে পুনরায় অপারেশন থিয়েটারের দরজা খোলা এবং সিজার পরিষেবা চালু হওয়ায় খুশি চন্দ্রকোনা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকার সাধারণ মানুষ জন।