Today Kolkata:- ED পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মামলার শুনানিতে উঠে এল ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রসঙ্গ। ইডির আইনজীবী বললেন, শিক্ষাকে ১০০ বছর পিছিয়ে দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জামিনের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে ফের উঠে এল প্রভাবশালী তত্ত্ব। মঙ্গলবার ভারচুয়ালি আদালতে পেশ করা হয় শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)।
সেখানেই ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি দুজনের জন্ম সাল উল্লেখ করেন। একজন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, অন্যজন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আইনজীবীর কথায়, “একজন শিক্ষাকে ১০০ বছর এগিয়ে দিয়েছেন। আরেকজন শিক্ষাকে পিছিয়ে দিয়েছেন ১০০ বছর।” দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ নাকি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বাড়িতে গিয়ে একবার তাঁকে দশ লক্ষ টাকা দিয়ে এসেছিলেন।
ইডি আদালতের কাছে আবেদন জানান, দুটো দিনই খুব বিখ্যাত। প্রথম, ২৬ সেপ্টেম্বর,১৮২০ জন্মদিন ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের। বর্ণ পরিচয় হাত ধরে শিক্ষার আলো এনেছেন তিনি। জ্ঞানের জন্য ঈশ্বর চন্দ্রকে সাংস্কৃত কলেজ থেকে নাম দেওয়া হয়েছিল বিদ্যাসাগর। এদিকে পালটা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন, পার্থ বাবুর বাড়িতে কোনও অর্থ পাওয়া যায়নি। দাবি করা হচ্ছে, দলবদ্ধভাবে অপরাধে যুক্ত।
ED “একজন শিক্ষাকে ১০০ বছর এগিয়ে দিয়েছেন, আরেকজন শিক্ষাকে পিছিয়ে দিয়েছেন ১০০ বছর।” পার্থর শুনানিতে বিদ্যাসাগরকে টানলেন ইডির আইনজীবী!
পুলওয়ামা হামলার কালো দিবসে মোদীর বার্তা।
এদিকে বিধায়ক আইনও প্রয়োগ করা হয়নি। তাঁর দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পার্থকে। জামিনের আরজি জানান তিনি। পাশাপাশি সহযোগিতার আশ্বাসও দেন। তবে এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) আইনজীবীর দুটো আবেদন ছিল, প্রথমটি হল, জামিন। দ্বিতীয়টি মামলা থেকে অব্যহতি।
এই আবেদন প্রসঙ্গে বিচারক বলেন, একদিনে মামলা থেকে অব্যহতি চাইছেন, অন্যদিকে জামিন। দুটো একসঙ্গে কীভাবে সম্ভব? এরপরই মামলা থেকে অব্যহতির আরজি প্রত্যাহার করে নেন পার্থর আইনজীবী। জামিন প্রসঙ্গে ফের উঠে আসে প্রভাবশালী তত্ত্ব। যদিও তা মানতে নারাজ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) আইনজীবী। ইডির তরফে বলা হয়, অ্যারেস্ট মেমোয় ঘনিষ্ট হিসেবে মু্খ্যমন্ত্রীর নাম লিখেছিলেন পার্থ। এতেই স্পষ্ট যে তিনি যথেষ্ট প্রভাবশালী। প্রসঙ্গত, সেদিন পার্থর (Partha Chatterjee) ফোন ধরেননি মুখ্যমন্ত্রী।
দুপক্ষের সওয়াল জবাব শুনে বিচারক শুভেন্দু সাহা (Suvendu Saha) বলেন, কেস ডায়েরি ও পারিপার্শিক তথ্য প্রমাণে মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় যুক্ত থাকার তথ্য প্রমাণ মিলেছে , প্রাথমিক সত্যত্যা মিলেছে । গত ৬ মাসের তদন্তে অভিযুক্তর ভূমিকা উঠে এসেছে এবং কেস ডায়েরি বয়ান থেকে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার সম্ভবনা জোরালো হয়েছে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না অভিযুক্ত একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি ফলে তদন্ত প্রভাবিত করা ও তথ্য প্রমাণ লোপাট এর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না.পারিপার্শিক এই তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে জামিনের স্বপক্ষে নই. ফলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিনের আর্জি খারিজ করা হল।”