Today Kolkata:- পুলওয়ামা হামলার কালো দিবসে মোদীর বার্তা । পুলওয়ামা হামলার ৪ বছর পূর্তিতে শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সেনা জওয়ানদের কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা চালায়। শহিদ হন ৪০ জন জওয়ান। আজ অর্থাত্ মঙ্গলবার পুলওয়ামার শহিদ জওয়ানদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ট্যুইটারে মোদী লেখেন, ‘পুলওয়ামায় শহিদ হওয়া সেই হিরোদের স্মরণ করছি। আপনাদের আত্মবলিদান আমরা কখনও ভুলব না। সেনা জওয়ানদের সাহসিকতাই শক্তিশালী ও উন্নত ভারত গড়ার অনুপ্রেরণা জোগায়।’
আজ থেকে চার বছর আগে ভূস্বর্গে ঘটেছিল সেই মর্মান্তিক ঘটনা। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসার দিনেই রক্তাক্ত হয়েছিল পুলওয়ামা। আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় শহিদ হয়েছিলেন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। তাঁরা ছুটিতে বাড়ি ফিরছিলেন। পুলওয়ামা থেকে ছুটির ঘন্টা বাজতেই বাড়ির পথে রওনা হয়েছিলেন তাঁরা। তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে দ্রুত গতিতে ছুটে এসেিছল একটি গাড়ি।
বিধ্বংসী সেই ঘটনা কোনও দুর্ঘটনা ছিল না। পরিকল্পিত ভাবে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা চালিয়েছিল জইশ-ই-মহম্মদ। আগে থেকেই খবর ছিল জঙ্গিদের কাছে। সেই মত পরিকল্পনা করেছিল পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। আত্মঘাতী বিস্ফোরণের জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল কাশ্মীরেরই এক বাসিন্দাকে। তার নাম ছিল আদিল আহমেদ। তার ব্রেনওয়াশ করে জিহাদি তৈরি করেছিল জঙ্গিরা। পুলওয়ামার কাকপোরা জেলার বাসিন্দা আদিল। ঘটনার দিন বিস্ফোরক বোঝাই ট্রাক সেই চালিয়ে নিয়ে গিয়েছিল বলে জানা যায়। পরে হামলার দায় স্বীকার করেছিল জইশ-ই-মহম্মদ। এই ঘটনার পরের দিন কাশ্মীর জুড়ে কার্ফু জারি করা হয়।
পুলওয়ামা হামলার কালো দিবসে মোদীর বার্তা।
Jaipur মোদী সরকারের যুগান্তকারী পরিবর্তন, দিল্লী থেকে জয়পুর পাঁচ ঘণ্টার পরিবর্তে সাড়ে তিন ঘণ্টায়।
এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেদিন কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন যারা এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, যাঁরা এই হামলা চালিয়েছে তাঁদের কঠিন মূল্য চোকাতে হবে। তারপরেই কাশ্মীরে জঙ্গি দমনে সেনা বাহিনীকে সব স্বাধীনতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মোদী। গোটা কাশ্মীর জুড়ে শুরু হয় তুমুল জঙ্গিদমন অভিযান। গোয়েন্দারা জানায় যে পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকেই বিস্ফোরক নিয়ে এসে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তারপরেই ভারত সার্জিকাল স্ট্রাইক চালায়।