বিরাট কোহলি টি-২০ ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন। ভারতীয় দলে রবি শাস্ত্রীর কোচিং জীবন শেষ হয়েছে। রাহুল দ্রাবিড়ের হাতে এখন টিম ইন্ডিয়ার ভবিষ্যত্। রাহুল দ্রাবিড়ের কোচিংয়ে এখন রোহিত শর্মার হাতে ক্যাপ্টেন-এর আর্ম ব্যান্ড উঠেছে। আর সব থেকে যেটা বড় পরিবর্তন, নিউ জিল্যান্ডকে হারাল টিম ইন্ডিয়া।
৫০ ওভারের বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল। তার পর ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল। এর পর টি-২০ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব। একের পর এক টুর্নামেন্টে নিউ জিল্যান্ডের কাছে হারতে হয়েছে ভারতীয় দলকে। যে কোনও টুর্নামেন্টে যেন কিউয়িরা সব থেকে বড় কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বিরাট কোহলির দলের কাছে।
রোহিত শর্মার ভারতীয় দল নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে যেন নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলেন। অনেকে হয়তো বলবেন, ঘরের মাঠে যে নিউ জিল্যান্ডকে ভারতীয় দল হারাল সেটা আসলে কিউয়িদের বি টিম। দলের মূল কাণ্ডারি কেন উইলিয়ামন খেলেননি। তিনি থাকলে মাঠে তাঁর দলের শরীরী ভাষা অন্যরকম হয়। তবে জয় তো জয়ই। কোনও শর্তে জয়ের মাহাত্মকে ছোট করা যায় না।
প্রথমে ব্যাটিং করে নিউ জিল্যান্ড তুলেছিল ১৬৪। মার্টিন গাপ্তিলের ৭০ ও মার্ক চ্যাপম্যানের ৬৩ রানের সৌজন্যে। জয়পুরের এই উইকেট ব্যাটারদের জন্যই তৈরি। বলে হালকা সুইং ছাড়া পেসারদের এই উইকেট থেকে কিছুই তেমন পাওয়ার ছিল না। স্পিনাররা কিছুটা সুবিধা পেলেন। তবে আগাগোড়া রাশ থাকল ব্যাটারদের হাতে। সেখানে আরও ১৫-২০ রান হয়তো নিউ জিল্যান্ডকে সুবিধা করে দিতে পারত। ১৬৪ তাড়া করতে নেমে রোহিত শর্মা অল্পের জন্য হাফ সেঞ্চুরি পেলেন না। রোহিতকে ফাঁদে ফেলে আউট করলেন ট্রেন্ট বোল্ট। ৪০ বলে ৬২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন সূর্যকুমার যাদব। কে এল রাহুল এদিনও রান পেলেন না। তবে শেষ পর্যন্ত ঋষভ পন্থের দায়িত্বশীল ইনিংস ভারতকে জয়ের মুখ দেখায়।